ইউ এইচ সুমা, দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
দুমকিতে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন ৭ নং রাজাখালী ওয়ার্ডের মোঃ জালাল উদ্দিন খান হারিয়ে ফেলেছে তার মুক্তিযুদ্ধের সনদ পত্র বঞ্চিত আছেন সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা থেকে।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে দেশের সব শ্রেণীর মানুষের সাথে মোঃ জালাল উদ্দিন খান ও যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে হাজার ত্যগের পরে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হয় সার্টিফিকেট জালাল উদ্দিন এর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়।
সে ও পায় তার নিজের সার্টিফিকেট।
তৎকালীন সময়ে চরবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর ছাত্র ছিলেন জালাল উদ্দিন চরবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন যে যাদের মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট আছে তাদের সার্টিফিকেট জমা দিলে পরিক্ষার ফি ও বেতন সহ সমস্ত মওকুফ করা হবে।
এর পরে সার্টিফিকেট জমা দিয়ে দেয়।১৯৭২ সালে সার্টিফিকেট জমা দেয়ার পর ৩৬০০ টাকা ও নতুন বই সহ ১ বছর সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন জালাল উদ্দিন।
এর পরে তাকে সুবিধাবঞ্চিত করা হয় তার প্রাপ্য অধিকার থেকে। অবলেহিত জালাল উদ্দিন খান তার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট ফেরত চায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে কাছে কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো যে তৎকালীন চরবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেন জানান যে তাদের সার্টিফিকেট স্কুলে নেই।
মোঃ জালাল উদ্দিন খান তার বক্তব্য জানায় যে তিনি ৭ নং সেক্টরে ছিল এবং কমান্ডার বাদল ব্যনার্জি নেতৃত্বে কাজ করেন। তার শরীরে এখনো রাইফেল এর দাগ রয়েছে। জালাল উদ্দিন খান এর ৩ মে ১ ছেলে।
বসতবাড়ি ছাড়া কোন যায়গা জমি না থাকায় অর্থনৈতিক দুরবস্থার শিকার হতে হচ্ছে তাকে।
মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে মেয়েরা সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। জালাল উদ্দিন খান এর ছেলে উচ্চশিক্ষিত থাকার পরও বাবার সনদ পত্র না থাকায় বেকারত্বের বোঝা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাকে।