৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রাঙ্গাবালীতে সরকারি বিদ্যালয় পরিনত হয়েছে বাস ভবনে

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ১, ২০১৯
রাঙ্গাবালীতে সরকারি বিদ্যালয় পরিনত হয়েছে বাস ভবনে

এস আল-আমিন খানঁ, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চর মোন্তাজ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের লক্ষী বেষ্টিন আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সোলেইমান আকঁন ও সহকারী ইসলাম ধর্ম শিক্ষিকা মোসাঃ রুমা আক্তার এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরজমিন অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসল অজানা সকল ভংকর তথ্য, প্রধান শিক্ষক সোলেইমান আকঁন কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের নিয়ম কানুন বিধিমালার বহির্ভুত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে নিজ ক্ষমতায়। রাস্টীয় আইনকে তোয়াক্কা করেন না তিনি। তাই যেখানে শিক্ষক মিলনায়তন সেখানে নেই কোন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কিংবা শেখ হাসিনার ছবি।এমনটি জানাগেছে সে বিগতদিনে একজন জামায়াত নেতা ছিলেন বর্তমানে নব্য আওয়ামীলীগের একজন কর্মী। শ্রেনী কক্ষ দখল, শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য, রাস্টীয় আইন অমান্য করা সহ সকল তথ্য চিত্র ধারন করতে গিয়ে বিদ্যালয়টি মনে হলো কোন বাস ভবন।তিনটি কক্ষ দখলে রেখে স্ত্রী স্বজনদের নিয়ে বসবাস করেছেন শিক্ষক সোলেইমান।এছাড়াও বিদ্যালয়ের ছাদে নির্মান করেছেন একটি রান্না ঘর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভবনটির ছাদ থাকার কথা নিটেলক্লীন কারন এই বৃস্টির পানি ধরে রাখতে স্লোফ আকারে তৈরী করা হয়েছে পানির ট্যাংক যে পানি ব্যবহার করবে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা কিন্তু ছাদটিতে রান্নাঘর ও লাকরি শুকানোর মাঠ তৈরী হওয়ায় সকল ময়লা আবর্জনার পানি গিয়ে ঢুকতেছে ঐ ট্যাংকিতে এতে করে কোন ছাত্র-ছাত্রী সে পানি ব্যবহার করতে পারছেনা।সকলে কস্টে করে নিচে নেমে টিউবয়েল থেকে পানি ব্যবহার করছে।অথচ নিজের পরিবারের সুবিধার্থ ছাদে বসানো হয়েছে গাজী ট্যাংক।এছাড়া সোলার প্যানেল লাইন থেকে ফ্রীজ ব্যবহার করতেছে বলে বিদ্যালয়ের কম্পিউটার লাইট ফ্যান গুলো অকেজো হয়ে পড়ছে জানান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। নিয়ম অনুযায়ী এই ভবনটিতে ১০০ শত বছরেও কেউ একটি পেরেকও বসাতে পারবেনা সেটা হবে আইনের বহির্ভুত কাজ। অথচ বছরের পর বছর সরকারি সম্পদকে নিজ পরিচালনায় ভোগ করছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ সোলেইমান আকঁন।এছাড়াও শিক্ষক নিয়োগে তার আপন বোন মোসাঃ রুমা আক্তারকে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি ইসলাম ধর্ম শিক্ষিকা পদে নিয়োগ দেয়ার অনিয়ম ও রয়েছে। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত না থাকার পরও ২০১৪ সাল থেকে বেতন ভাতা তুলছেন শিক্ষিকা রুমা। প্রতিবেদনের সময় প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষিকার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বিদ্যালয়ে।এসময় স্কুল শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা অনেকেই রুমা আক্তারকে দেখেনি নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা বলেন আমরা আগে মাঝে মাঝে দেখতাম এই দুই বছরে ১০-১২ দিন এসেছিলো।মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষকের কাছে অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার মত সকলকে ম্যানেজ করে এখানে আছি স্কুল কমিটির অনেকেই জানে এরবেশী কোন কথা বলবে না বলে ফোন কল কেটে দেয়।এরপরে বহুবার চেস্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।সহাকারি শিক্ষিকার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদকের কোন প্রশ্নের জবাব দিবেনা। সব কিছু প্রধান শিক্ষক জানেন সে বলবে।তিনি আরে বলেন, আমি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন তবে কত দিন কত মাস কিংবা বছর এমন প্রশ্নের উওর না দিয়েই কল কেটে দেন।

বিষয়টি রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করতে গিয়ে বিশেষ কারনে তাকে পাওয়া যায়নি।পরে রাঙ্গাবালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করলে তিনি বলেন, এরকম বিষয় কেউ আগে কখনো বলেনি তবে কিছু অনিয়মের বিষয় শুনেছি কিন্তু সেখানে বসবাস করা কিংবা তার বোন ক্লাস না করে বেতন ভাতা তোলার বিষয়ে কেহ বলেনি আমরা অতিদ্রুত সেখানে পরিদর্ষনে গিয়ে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করব।এবং নিয়মের বাহিরে থেকে কেহই চাকুরী করতে পারবেনা দরকার হলে সেখানে আইনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।এছাড়াও চর মোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মিয়া প্রতিবেদনকালে অত্র বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন তিনি বলেন,বাংলাদেশ সরকার শিক্ষার মান বাড়াতে সকল শিক্ষার্থীদের সুব্যবস্থা করে যাচ্ছেন এইখানে কোন ভালো বিদ্যালয় ছিলো না এখন হয়েছে তাও চলছে এধরনের অনিয়ম এখানে আমরা কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখতে চাইনা বিদ্যালয় সেটা নিয়ম ও বিধিমালা অনুযায়ী চলবে এর প্রতিকার মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি করেন।এব্যাপারে স্কুল কমিটির সভাপতি এ,কে আবু মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন,কেউ যদি রাষ্ট্রীয় সম্পদ জোর করে দখল করে এবং বর্তমান রাস্টীয় আইনকে অমান্য করে কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি না রাখে সেটা রাস্টীয় অপরাধ এধনের অপরাধের বিচার আইনের মাধ্যমে হবে। রাষ্ট্রীয় কোন সম্পদ নস্ট করলে তারও শাস্তি হওয়া উচিত বিষয়টি আমরা কঠোরভাবে দেখব বলে জানায়।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031