এম জাহিদ চৌধুরি, রংপুর ব্যুরো প্রধান:-
ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ও দখল মুক্ত ফুটপাত ব্যবহার নিশ্চিত করতে রংপুর মহানগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
সোমবার (অক্টোবর ২১, ২০১৯) দুপুরে নগরীর কাচারী বাজার থেকে স্টেশন রোড জীবন বীমা মোড় পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। ফুটপাত দখলমুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে নগরবাসী। নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে রংপুর মহানগরকে যানজটমুক্ত করতে এধরণের অভিযান জরুরী বলে জানান এক পথচারী।
নগরীর জাহাজ কোম্পানী মোড়ে সুমন নামে ওই পথচারী বলেন, ফুটপাত দিয়ে আমাদের চলাচল করতে প্রায়ই ভোগান্তি হয়।বিভিন্ন জায়গাতে ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা ফুটপাতের ওপর রেখে মালামাল রাখে। এধরণের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হলে ফুটপাত দখলমুক্ত হবে। একজন সাধারণ পথচারী হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানকে স্বাগত জানাচ্ছি।
এদিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার নাজরান রউফ বলেন, আমরা একটি সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। ফুটপাত থেকে শুরু অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং, রাস্তা দখল, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমাদের পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে শুধু ফুটপাত দখলমুক্তসহ অবৈধ পার্কিং বন্ধ, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী স্থাপনা উচ্ছেদ, সন্ধ্যায় রাস্তার ওপর বসানো সবজির ভ্রাম্যমান বাজার উচ্ছেদ করাসহ পথচারীদের নিরাপদ ও নির্বিঘে যাতায়াত ব্যবস্থার বিষয়ে আমরা বিভিন্ন অভিযান ও জরিমানা করছি।
অন্যদিকে অভিযান পরিচালনাকারী রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার রায়হানুল ইসলাম জানান, মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুই পাশে নিরাপদ ফুটপাত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এসময় ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা, ছোট ছোট দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। একই সাথে ফুটপাতের সাথে থাকা ব্যবসায়ী ও দোকানীদের ফুটপাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেয়া হয়। এই অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাহী মেজিস্ট্রেট বলেন, কয়েকদিন ধরে আমরা মাইকিংয়ের মাধ্যমে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে ব্যবসায়ীসহ অবৈধ স্থাপনার মালিকদের অবগত করা হয়েছে।আমরা ব্যবসায়ীদেরকে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার জন্য আহবান করেছি। এরপরও যদি কেউ ফুটপাত দখলে রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।