মোঃ আবুল হাশেম,লামা প্রতিনিধি : বান্দরবানের লামা উপজেলায় বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক একটি মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টা ও মাছ লুঠের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৯.০০ ঘটিকায় উপজেলার সরই ইউনিয়নের কুলান পাড়াস্থ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীরা দিনদুপুরে ০.৫৮ শতক বিশিষ্ট মৎস্য খামারটি দখলে নিতে অস্ত্রের মুখে হামলা চালিয়ে, মৎস্য ঘের থেকে প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এনিয়ে ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষী উপজেলার সরই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড, এলাকার বাসিন্দা আবদুল জব্বরের পুত্র আরফাতুল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ৩০১নং সরই মৌজার আর/৩২ নং হোল্ডিং ৫.০০একর জায়গার মূল মালিক জয়নাল আবেদীন, পিতা আবব্দুল জব্বার এর নামে সরকারী তৌজিতে রেকর্ডভুক্ত। ১৯৮০-৮১ সনে উক্ত জায়গায় জয়নাল আবেদীন মাছের ঘের সহ বিভিন্ন গাছ গাছালির বাগান করেন। জয়নাল আবেদীন তাহার নামীয় ভোগ দখলকৃত মাছের ঘের সহ ০.৫৮ (শতক) একর জায়গা দানপত্র মূলে বাদী আরফাতুল ইসলামকে প্রদান করে এবং গত ১৪/০৪/২০১৭ ইং তারিখে বান্দরবান জেলা প্রশাসক আদেশ মূলে তাহার নামে মাছের ঘের সহ ০.৫৮ (শতক) একর জায়গায় সরকারী তৌজিতে রেকর্ডভুক্ত হয়। উক্ত মাছের ঘেরে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছিলেন আরফাতুল রহমান। বর্তমানে জায়গার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আসামীপক্ষ উক্ত মাছের ঘেরের মাছ ও জায়গায় দখলের চেষ্টা করে আসছিল দীর্ঘদিন। তারই প্রেক্ষিতে ঘটনার দিন মৃত ওবাইদুল হাদির পুত্র নুরুল হক ও নুরুল হক এর পুত্র আনোয়ার হোসেনের নের্তৃত্বে অবৈধভাবে মৎস্যঘের জবর দখল করতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ৫০-৬০ জনের একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ২০টি মটর সাইকেল ও ৪টি সিএনজি গাড়ী যোগে এসে মৎস্য ঘেরে সশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। মৎস্য ঘেরে ঢুকে প্রথমে অস্ত্রের মূখে নুরুল হক, ডালিম, অনোয়ার হোসেন, দস্তগীর সিকদার মানিক, আবদুল গফুর, আবদুল হাফেজ, আবুল বশর, হাইনা আলম, নুর আহমদ, বাকের সহ অজ্ঞাতনামা অনেকে জাল দিয়ে মৎস্য ঘের থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যার অনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। যাবার সময় অভিযুক্তকারীরা মৎস্য ঘেরের বাধঁ কেটে দিয়ে প্রায় ১লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ সময় ঘেরে অবস্থানরতরা বাঁধা দিলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে এই লুটপাট চালায়। এদিকে মাছ লুটের পরও ঘের দখলে নেওয়া সহ নানাভাবে ভয়ভীতি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আরাফাতুল রহমান।