মোহাম্মদ ইসহাকঃ ভোলার বোরহান উদ্দীন উপজেলায় ফেসবুকে স্থানীয় হিন্দু যুবক কর্তৃক আল্লাহ ও মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে মুসলিম জনতার বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশি হামলা ও চার মুসল্লির শাহাদাতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আল্লামা ইসহাক মাদানী রহ. সুযোগ্য সাহেবজাদা শায়েখ সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী
রোববার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রণক্ষেত্র তৈরী হয়েছে।
রক্ত ঝড়ছে নবিপ্রেমিক তৌহিদি জনতার!
ভোলায় যে ঘটনা ঘটল, তা খুবই ন্যাক্কারজনক। পুলিশ মানুষের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত, কিন্তু সেই পুলিশের হাতেই চার চারটি তাজাপ্রাণ ঝরে পড়ল! কোন ভাষায় এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাবো, তা আমার জানা নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ। ইসলাম, আল্লাহ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের হৃদয়ের স্পন্দন। মহান রবকে নিয়ে, আমার রাসূলকে নিয়ে, ইসলামকে নিয়ে কেউ কটূক্তি করলে তাঁদের কলিজায় আঘাত লাগে।
তাই কটূক্তিকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হওয়া প্রতিটি মুসলমানের ঈমানি দাবি। এই দাবি পূরণে ভোলার তাওহিদি জনতা একত্রিত হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেই জমায়েতে গুলি চালিয়ে কলঙ্কজনক একটি অধ্যায়ের জন্ম দিল।
শায়েখ মাদানী বলেন, যাদের ইন্ধনে এই হামলা হয়েছে এবং পুলিশের যে সব সদস্য এমন বর্বরতা চালিয়েছে অবিলম্বে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি যে হিন্দু লোক আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কটূক্তি করেছে তাঁরও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এদের শাস্তি নিশ্চিত না করলে দেশের তাওহিদি জনতা একযোগে আবারও গর্জে উঠবে। তখন এ জনরোষ সরকার কিংবা প্রশাসন কারো জন্যই শুভ হবে না।