এস আল-আমিন খানঁ,পটুয়াখালী জেলা-প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর চরগঙ্গা গ্রামের গৃহবধূ লিলি বেগম স্বামীর নির্যতন সইতেনা পেরে বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বাপের বাড়ির লোকজন বিষপানের কথা বলে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক লিলিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গলাচিপা থানা পুলিশ লাশ্ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গলাচিপা থানা পুলিশ ও লিলির ভাই মিজানুর জানান, গত দশ বছর আগে রাঙ্গাবালীর বড় বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা গ্রামের সুলতান ফরাজির ছেলে ফিরোজ ফরাজীর সাথে প্রেমকরে একই এলাকার কাঞ্চন খার মেয়ে লিলি বিয়ে করেন।
বিয়ের পর থেকেই লিলি আর ফিরোজের দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই কলোহ লেগে থাকতো। যৌতুকের জন্য লিলিকে তার স্বামী ফিরোজ মারধর করতো।
স্বামীর নির্যাতন সইতেনা পেরে গত দুই বছর আগে গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিলি তার স্বামী ফিরোজের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিল।
পরে স্থানীয়দের মধ্যস্ততায় আদালতের মাধ্যমে আবার লিলিকে ঘরে তুলে নেয়। কিন্তু এরপরেও নির্যাতন থেকে থাকেনি। গত শুক্রবার আবারো যৌতুকের জন্য লিলিকে অমানসিক নির্যাতন করে বলে লিলির ভাই মিজানুর জানান। তিনি আরো জানান, নির্যাতন সইতেনা পেরে আমার বোন আত্মহত্যা করেছে।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আখতার মোর্শেদ বলেন, ‘লিলির শুধু চিকিৎসা হয়েছে গলাচিপা। আর ঘটনাস্থল রাঙ্গবালী থানার।
আমরা লাশের সুরাতহাল রির্পোট করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে পাঠিয়েছি। পোস্টমটেম রির্পোট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’