হাসান লিটন :: এফভি রাজিয়া সুলতানা নামের একটি ট্রলার ভিড়িয়ে প্রতি হালি ইলিশ ৬শ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছিলো। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট আর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা ট্রলার নিয়ে মায়া ব্রিজ সংলগ্ন খালে গা ঢাকা দেয়। পুলিশ সেখান থেকে মাছসহ ট্রলারটি আটক করে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান, প্রায় বিশ মন ইলিশসহ ট্রলারটি জব্দ করা হয়েছে।
জব্দকৃত মাছ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১২টি এতিমখানা ও হাফেজী মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাছ আটকের সংবাদ পেয়ে কিছু দুচ্চরিত্রা ব্যক্তি এবং নাম সর্বস্ব সংবাদপত্রের কতিপয় হলুদ সাংবাদিক বিভিন্ন এতিমখানা, ও মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে বিতরনকৃত মাছ গ্রহন করে।
অথচ খোজ নিতে গিয়ে কেরামতগঞ্জ কেরাতুল কোরআন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ সোলায়মান’র কাছে মাছ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের মাদ্রাসার নামে কেউ মাছ নিয়ে থাকলে সেটা মিথ্যাচার, আমরা মাছ পাইনি।
আটক ট্রলারটি দুলারহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির জিম্মায় রাখা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.সাইফুল ইসলাম জানান, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১ হালি করে মা ইলিশ কিনে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয় আমির হোসেন, কাশেম, রাকিব ও জসিম নামের ৪ ব্যাক্তিকে। তাদের প্রত্যেককে ১বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এদের বাড়ি নুরাবাদ ও আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নে। দুলারহাট থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, দন্ডিত ৪ জনকে হাজতে সোপর্দ করা হয়েছে।