Sharing is caring!
করে চলমান গাজা যুদ্ধের আগে জইশের মতো গোষ্ঠী এবং বেলুচ জঙ্গিবাদ নিয়ে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা অথবা লোহিত সাগরে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার মতো ঘটনায়।
ইরান প্রায়ই বলে, তারা বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জইশের নিরাপদ আস্তানাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করবে। এমনকি দুই দেশের সীমান্তে সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি একটি নিয়মিত ঘটনা।
ঘটনাটি স্বতন্ত্রভাবে দুই দেশের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিষয় যা ২০২১ সালে কাবুলের ক্ষমতায় তালেবানের আসায় আরও জটিল হয়েছে। জইশের মতাদর্শ অনেকটা তালেবানদের মতো হওয়ায় রাজনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তারা একে অপরকে এড়িয়ে যেতে পারেনা। কারণ প্রথমে তারা হাজির হয় একটি ইসলামি আন্দোলন নিয়ে পরে তারা প্রতিষ্ঠিত হয় একটি রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে।
পাকিস্তানের জন্য চলমান পরিস্থিতি রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের প্রচারে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যর্থ নীতিতে আরেকটি ধাক্কা। অর্থনৈতিক ধসের পাশাপাশি নিজেদের কৌশলগত অ্যাসেটকে তার শাসন ব্যবস্থা ও অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে মোড় নেওয়া থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ পাকিস্তান। এমন টালমাটাল পরিস্থিতি একতরফাভাবে দেশটির বিরুদ্ধে যেকোনো আক্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি বলতে গেলে তত্ত্বাবধায়কের হাতে পরিচালিত পাগলাগারদ, সীমিত রাজনৈতিক ইচ্ছা ও সামরিক বাহিনী ব্যস্ত বেসামরিকদের চ্যালেঞ্জ ঠেকাতে। বিশেষ করে ইমরান খানের মতো ব্যক্তিত্বরা সামরিক বাহিনীর কম্ফোর্ট জোনের বাইরে চলে গেছে বলে মনে হচ্ছে যাকে তারা নিয়ন্ত্রণ করতে মরিয়া।
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মতো ঘটনাকে ঘিরে উল্লেখযোগ্যভাবে উদ্বেগজনক তথ্য হল পাকিস্তান প্রকৃতপক্ষে একটি পারমাণবিক শক্তি। পারমাণবিক প্রতিরোধ স্পষ্টতই এই খেলার মধ্যে ছিল না কারণ তেহরান বেলুচিস্তানে জইশ ইকোসিস্টেমকে লক্ষ্যবস্তু করার পরিকল্পনা করেছিল। প্রশ্ন আসতে পারে এখানে তাহলে তেহরানের কৌশলগত চিন্তাটা কোথায়।
পাকিস্তানের সর্বশক্তিমান সেনাপ্রধান টিটিপির হুমকি মোকাবিলার জন্য মার্কিন সহায়তার অনুরোধ করেছিলেন বলে জানা গেছে। পাকিস্তান আজ তার পরমাণু অস্ত্রের একমাত্র যে সদ্ব্যবহার করতে পারে তা হল জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র আসার ভয় তৈরি করা। বিখ্যাত পণ্ডিত স্টিফেন পি কোহেন যেমনটা বলেছিলেন, পাকিস্তান তার নিজের মাথায় বন্দুক দেখিয়ে বিশ্বের সঙ্গে আলোচনা করে।
তবে ঘটনাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই সত্যটি সামনে এনেছে যে আফগানিস্তান-পাকিস্তান নাটক এখনো শেষ হয়ে যায়নি এবং এটি উপেক্ষা করার মতো বিষয় নয়। ইরানের জন্য তালেবানের সঙ্গে দৃঢ় মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমারা, বিশেষ করে মার্কিন সামরিক শক্তি যেন তার সীমানার কাছে আর কখনো ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করার দীর্ঘ লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে।