Sharing is caring!
চা শ্রমিক! এক শোষিত জীবন
একটি প্রবাদ বাক্য আছে ” জোর যার মুল্লুক তার ” আমাদের দেশে শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এর বাস্তব প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। আমাদের দেশের অধিকাংশ শ্রমিকই শোষিত। যে শ্রমিক এর ঘাম দিয়ে তৈরি হয়েছে আমাদের এই সভ্যতা। সেই শ্রমিক এর শোষন এক মারাত্মক নগ্নতা। শ্রমিক পায়না তার প্রাপ্ত মজুরি, পর্যাপ্ত বিশ্রাম। শিক্ষা ও চিকিৎসা সব ক্ষেত্রেই তারা চরম অবহেলিত। চা শ্রমিকদের কথায় বলি। পড়ন্ত বিকালে আমার আপনার জন্য এককাপ চা স্বস্তির পরশ বয়ে আনে। আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা সে তো চা ছাড়া জমেই না। এই স্বস্তি এই শান্তির পিছনে রয়েছে চা শ্রমিকদের নিরলস অবদান। যাদের কাজ সারাদিন চা পাতা তোলা তারাই জানেনা এক কাপ চায়ের স্বাদ। জানবেই বা কিভাবে উচু মূল্যের এই বাজারে তাদের সারাদিন এর মজুরি মাত্র ১২০ টাকা। যা আমার আপনার জন্য অবিশ্বাস্য ও বটে। এই বাজারে একজন শ্রমিক মাত্র ১২০ টাকায় কিভাবে তার সংসার চালায় ভেবে অবাক হয়ে যাই। একপ্লেট ভাত মুখের সামনে আনতেই যাদের সারাদিন এর আয় চলে যায়। ক্ষুধা যাদের নিত্যসঙ্গী। তাদের জন্য শিক্ষা ও উন্নত চিকিৎসা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার । যা তাদের অধিকার। আর উন্নত বাসস্থান সে তো ছেড়া কাথায় আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। গত কিছুদিন ধরে তারা তিনশত টাকা মজুরি এর যে যৌক্তিক আন্দোলন করে আসছে। তা মেনে নিতে মালিক পক্ষের এত গড়ি মসি কেন আমার অজানা। আমার ভাবনার বাইরে। তারা চেয়েছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে কিন্তু তাও হয়নি। পরবর্তীতে মালিক পক্ষের সাথে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা নিয়ে তারা আাশা দেখেছিল। ভেবেছিল আশানুরূপ কোন ফলাফল পাবে কিন্তু তারা হতাশ হয়েছে। আলোচনায় তাদের মজুরি নির্ধারণ হলো ১৭০ টাকা। যা মেনে নেওয়া আসলেই কষ্টকর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী থাকবে তারা যেন তাদের প্রাপ্য মজুরি পায়। পরিশেষে বলবো ” শোষণের শিকল ছিড়ে যাক শোষিতরা মুক্তি পাক ”
লেখকঃ
মহাসিন শিকদার
শিক্ষাথী, আল আকসা মাদ্রাসা
মোবাঃ 01873493822
Gmail: mdmohashinshikder@gmail