Sharing is caring!
মারুফ রানা, কাতার দোহা থেকেঃ
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, কাতারে তুর্কি সামরিক ঘাঁটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রখ্যাত মুসলিম কমান্ডার খালিদ বিন ওয়ালিদের নামে সামরিক ঘাঁটিটির নামকরণ করে তিনি জানিয়েছেন, যৌথ এই সামরিক ঘাঁটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনা ছাড়াও অঞ্চলটির স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাজ করে যাবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তুর্কি-কাতার উচ্চ পর্যায়ের কৌশলগত একটি কমিটির পঞ্চম বৈঠকে যোগ দিতে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এখন কাতার সফরে রয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
সামরিক ঘাঁটিতে মোতায়েন প্রায় ৫ হাজার সেনার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। দুই বছর আগে সৌদির নেতৃত্বে কাতারবিরোধী অবরোধ শুরু হলে সেসব সৈন্য সেখানে মোতায়েন করা হয়। দোহা তুরস্কের কাছ থেকে ১০০টি ট্যাঙ্ক ক্রয় করছে কাতারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই এরদোয়ান দেশটিতে সফরে গেলেন।
সম্প্রতি নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া সামরিক ঘাঁটিটি পরিদর্শন শেষে সেনাদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোয়ান বলেন, ‘এটা (তুর্কি-কাতার জয়েন্ট ফোর্স কমান্ড) শুধু কাতারেই শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে অবদান রাখবে না, এর মাধ্যমে গোটা উপসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাজ করে যাবে।’
কমান্ডটির নামকরণ করা হয়েছে প্রখ্যাত ইসলামিক কমান্ডার খালিদ বিন ওয়ালিদের নামে। তিনি সপ্তম শতকে মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) সেনা দলের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রসিদ্ধ। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন অপরাজেয়, তাই মহানবী তার নাম দিয়েছিলেন আল্লাহর তরবারি।
এরদোয়ান সামরিক ঘাঁটি নিয়ে বলেন, ‘এটি হলো ভ্রাতৃত্ববোধ, বন্ধুত্ব, সংহতি ও আন্তরিকতার প্রতীক। হুমকি ও নানা ধরনের সংকটকালীন সময়ে আমরা কখনোই আমাদের বন্ধুকে একা ফেলে রেখে যাইনি। ভবিষ্যতেই যেকোনো বিপদকালীন সময় আমরা তাদের একা করে চলে যাবো না।’
২০১৭ সালের জুনে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরান এবং মিসর যৌথভাবে কাতারের বিরুদ্ধে ভূমি, আকাশ ও সমুদ্রপথে অবরোধ ও হামলা শুরু করে। তাদের অভিযোগ দোহা আঞ্চলিক নীতি মানছে না। কিন্তু কাতার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলে তারা স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিতে চলে।