৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভাগিয়ে নয়, পান্নার পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে করেন মেয়র নজরুল

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ১৩, ২০১৯
ভাগিয়ে নয়, পান্নার পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে করেন মেয়র নজরুল

অভিযোগ ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা গুলশানারা পারভীন পান্নাকে পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা এসএম নজরুল ইসলাম ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেননি।

বরং উভয় পরিবারের সম্মতিতেই পান্না ও মেয়র নজরুল ইসলামের বিয়ে হয়েছিল বলে জানা গেছে।

গতকাল সোমবার একটি অনলাইন গণমাধ্যমে ‘স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে গেলেন মেয়র, ভয়ে চুপ স্বামী’ শিরোনামে শিক্ষিকা গুলশানারা পারভীন পান্না ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলামকে নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ব্যবসায়ী রাজন আহমেদের স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা গুলশানারা পারভীন পান্নাকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন উল্লাপাড়ার পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা এসএম নজরুল ইসলাম।

কিন্তু মেয়রের প্রভাবে মামলা তো দূরের থাক আজ পর্যন্ত কোথাও কোনো অভিযোগও করতে পারেননি গুলশানারার স্বামী রাজন আহমেদ।’

পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পান্নাকে ভাগিয়ে নিয়ে বা জোর করে বিয়ে করেননি মেয়র নজরুল ইসলাম। দুই পরিবারের সম্মতিতেই ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।

একটি ছবিতে মেয়র নজরুল ইসলামের সঙ্গে পান্না ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা গোলাপ হোসেন এবং মা জাকিয়া সুলতানাকে দেখা গেছে।

আরেকটি ছবিতে পুত্রবধূ পান্নার সঙ্গে মেয়রের বাবা চাঁদ আলী সরকার ও মা তারা বানুকে দেখা গেছে।

জানা গেছে, প্রথম স্ত্রী জেসমিন জয়ার সঙ্গে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় মেয়র নজরুল ইসলামের।

এরপর উভয় পরিবারের সিদ্ধান্তে ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল অনাড়ম্ভর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গুলশান আরা পারভীন পান্নাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মেয়র নজরুল ইসলাম।

এর আগে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে প্রথম স্বামী রুমান সাইদ রাজনকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন গুলশান আরা পান্না। একই তারিখে তাদের দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

এছাড়া মেয়রের প্রথম স্ত্রী জেসমিন জয়ারও দ্বিতীয় বিয়ে হয়ে গেছে।

এদিকে তাকে ঘিরে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করায় গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেয়র নজরুল ইসলাম।

উল্লাপাড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার ৮ জন কাউন্সিলর, পৌর আওয়ামী লীগের ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি স্থানীয় পত্রিকা ও ২/১টি অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা অসত্য।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিয়ে সংক্রান্ত সব কাগজপত্র সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন।

মেয়র নজরুল ইসলাম বলেন, ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক আমার দ্বিতীয় বিয়েতে পান্নার বাবা মুক্তিযোদ্ধা গোলাপ হোসেন, মা জাকিয়া সুলতানা ও তার পরিবারের অনেক সদস্যসহ শহরের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ইতিমধ্যে প্রথম স্ত্রী জেসমিন জয়ারও দ্বিতীয় বিয়ে হয়ে গেছে বলেও জানান মেয়র। এরপরও কেন আমার বিরুদ্ধে চরিত্রহরণসহ নানা নোংরা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে? প্রশ্ন করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031