২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মহেশপুরে প্রবাসীর জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ, বাঁধা দিলে দেওয়া হচ্ছে হত্যার হুমকি

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ৫, ২০২০
মহেশপুরে প্রবাসীর জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ, বাঁধা দিলে দেওয়া হচ্ছে হত্যার হুমকি

 

সুলতান আল একরাম,ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে রেমিটেন্স যোদ্ধা এক প্রবাসীর বাড়ির রাস্তা দখল করে জোরপুর্বক স্থাপনা নির্মাণ করছে এক ভুমিদস্যু। প্রবাসীর পিতা ও পরিবারের লোকজন বাঁধা দিলে তাদের মারধরসহ হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভূমিদস্যু প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রাম্য মাতব্বরদের সিন্ধান্ত উপেক্ষা করে কাজ করছে। এ নিয়ে যেকোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারপরও স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ২ সন্তান মালয়েশিয়া ও ব্রুনাই অবস্থান করছেন। নিজের ভিটায় আব্দুস সাত্তারের বড় ছেলে আব্দুল্লাহ একটি ঘর নির্মান করেছেন। জমির দলিল ম্যাপ অনুযায়ী ঘর নির্মান করে ঘরের পাশে ২ ফুট রাস্তা রেখে দিয়েছেন যাতায়াত করার জন্য। সম্প্রতি ওই এলাকার ভুমিদস্যু আব্দুল কুদ্দুস জমি দখল করে স্থাপনা নির্মান করছেন। এ ২ সন্তান বাড়িতে না থাকায় আব্দুস সাত্তার বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে গেলে জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করতে বারণ করলেও তা আব্দুল কুদ্দুস মানছেন না।

আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করেন, আব্দুল কুদ্দস একজন ভূমিদস্যু। জায়গা দখল করে তিনি বাড়ি নির্মান করছেন। আমার সন্তানরা বাড়ি না থাকার সুযোগে আব্দুল কুদ্দুস জমি দখল করছে। আমি বাঁধা দিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। মারধর ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। থানা থেকে পুলিশ এসেছিল। তারা ফিরে যাওয়ার পর আবারো কাজ করছে। আমি এখন অসহায়।

মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা দেশের জন্য রেমিটেন্স পাঠাচ্ছি। দেশের উন্নয়নে কাজ করছি। কিন্তু আমার পরিবার এখন নিরাপত্তহীনতায়। এজন্য আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীসহ সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এই জমিতে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আমি কাজ করবো। মাতব্বর বা পুলিশ কি বলল আমার কিছু আসে যায় না।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30