মোঃ হাসান,চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি:-
চরফ্যাসন বেতুয়া ঘাটে প্রবাসী যাত্রীদের কাছ থেকে মালামাল আটকে রেখে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগ।
যাত্রীরা অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি নাহলে ঘাটের আক্তার এবং তার সহপাঠীরা যাত্রীদেরকে হেস্তনেস্ত করে জোর করে টাকা আদায় করেন।
বেতুয়া লঞ্চ ঘাটে আক্তারের বিরুদ্ধে রয়েছে অনেক যাত্রীদের অভিযোগ শুধু হয়রানী নয় যাত্রীদের গায়ে হাত দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
প্রবাসী মোঃ আল মামুন জানান কিছুদিন আগে আমি যখন সিঙ্গাপুর থেকে আসি আমি চরফ্যসনের একজন ছাত্রলীগ কর্মী কিন্তু বর্তমানে আমি সিঙ্গাপুর থাকি বেতুয়া ঘাটে সকাল বেলা লঞ্চ থেকে নামতে গেলে আক্তার নামের একজন টাকার জন্য আমার মালামাল আটকে রাখে আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে।
মাদ্রাজ ছাত্রলীগ কর্মী আবু জাফর অভিযোগ করে বলেন আমি ঢাকা থেকে দুই জোরা কবুতর নিয়ে চরফ্যাসন আসি ঘাটে আক্তার এবং তার লোকেরা আমার কাছে পাঁচশত টাকা দাবি করে আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার লোকজন আমার কবুতর আটকে রাখে এবং অনেক খারাপ ভাষা ব্যবহার করে। ঘাটে দুই গুরুপকে টাকা দিতে হয়।
গতকাল সকালে সিঙ্গাপুর প্রবাসী আছলামপুরের মোঃ নুরুল আমিন কর্ণফুলী ১২ লঞ্চে বেতুয়া আসেন লঞ্চ থেকে নামার সময় তার কম্বলের ব্যাগ আটকে এক হাজার টাকা এবং ঘাটের অন্য গুরুপ এক হাজার টাকা চায় এবং ব্যাগ আটকে রাখে নুরুল আমিন বলেন ঢাকা থেকে আসতে আমাকে কোথাও টাকা দিতে হয়নি কিন্তু এখানে আমাকে এতো টাকা দিতে হবে কেনো এই কথার পরে আমার সাথে তার লোকজন খুব খারাপ ভাষা ব্যবহার করে পরে আমার এলাকার পরিচিত কয়েকজন তাদেরকে থামায় তার পরেও আমাকে তাদের দুই গুরুপকে ৭০০ টাকা দিতে হয়।
অভিযোগ করে অনেকেই বলেন তারা যাত্রীদের কাছ থেকে যে কায়দায় হয়রানি করে টাকা আদায় করেন তাদের ব্যবহার চাঁদাবাজদের মতো।
বর্তমান সরকার যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে বিমানবন্দর এবং সদর ঘাট সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু বেতুয়া লঞ্চ ঘাটে আক্তার বাহিনীর ব্যবহার খুবই খারাপ এবং দুঃখ জনক।
চরফ্যাসন মনপুরার সংসদ সদস্য,আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এম,পি,মহোদয়ের উন্নয়ন সারাদেশে প্রশংসনীয়। কিছু খারাপ লোকের কারনে যেনো বেতুয়া লঞ্চ ঘাটের বদনাম নাহয় সাধারন মানুষের দাবি বেতুয়া ঘাটে যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে হবে।