মোজাম্মেল হক, বিশ্বম্ভরপুর প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজে’লায় চো’রাচালানী ও নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য অ’বৈধভাবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ৩টি কোরবানীর গরুর হাট বসাতে তৎপরতা শুরু করেছে সরকার বিরোধী ও সুবিধা ভোগী একটি মহল।
এনিয়ে উপজে’লার জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছে। অ’বৈধভাবে কোন কোরবানীর হাট বসানোর সুযোগ না দিতে প্রকৃত ইজারাদার গনের মাঝে দাবী জানিয়ে জে’লা প্রশাসকের কাছে ।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানাযায়,জে’লার তাহিরপুর উপজে’লার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের জনতাবাজার ও শান্তিপুর বাজারে কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে সীমান্তে গরু চো’রাচালানীদের মাধ্যমে চুরাই পথে গরু এনে চাঁদাবাজি ও অধিক মুনাফা লাভের আশায় দীর্ঘ দিন ধরে উপজে’লা ও জে’লার উধর্বতন কর্মক’র্তাদের ভুল বুজিয়ে ও সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত করে ফায়দা লুটতে চাইছে একটি মহল। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে বিজিবি কঠোর নজরদারী রাখলেও সীমান্তের চিহ্নিত চো’রাচালানীরা তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছে।
যদি ঐ তিনটি বাজারে কোরবানির গরুর হাট বসানো হয় তাহলে ভারত থেকে চুরাই পথে অ’বৈধভাবে আসা দুবর্ল ও রোগাক্রান্ত গরু সয়লাব হবে উপজে’লায়। আর সারা বছরের জন্য এসব গরু বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে। আর রোগাক্রান্ত গরু খেয়ে মানুষ জন রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভবাবনা রয়েছে অন্য দিকে সরকার ও ব্যবসায়ী এবং ইজারাদাগন ক্ষতি গ্রস্থ হবে।
এছাড়াও উপজে’লার বাদাঘাট বাজার ব্যবসা বানিজ্যের প্রান কেন্দ্র এবং দীর্ঘ দু যুগেও বেশী সময় ধরে গরুর হাট হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। যার ফলে এ বাজারটি ইজারাদার গন প্রচুর পরিমানে সরকারকে রাজস্ব দিয়ে ইজারা আনে। এখন এই বাজার রেখে আরো বাজার হলে ইজারাদার গন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ফলে আগামীতে আর কেউই সরকারকে অধিক রাজস্ব দিয়ে বাদাঘাট বাজারটি ইজারা আনবে না। এটি সরকারের বর একটি রাজস্বে খাত তা বিবেচনায় রাখা বলে মনে করেন সচেতন মহল।
বাদাঘাট বাজারের ইজারাদার হুমায়ুন কবির ক্ষোভের সাথে জানান,বাদাঘাট বাজারটি আম’রা সরকারী ভাবে সকল নিয়ম মেনে ইজারা এনেছি। এখন যদি এই বাজারের এক কিলোমিটার দূরে আরো দুটি বাজার বসায় আমি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হব। আমাদের ক্ষতি করার জন্য চো’রাচালানীদের সুবিধা দিয়ে নিজেদের চাঁদাবাজি আর স্বার্থ হাসিল করার জন্য মানববন্ধন আর বিভিন্ন ভাবে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করছে একটি মহল আম’রা এর নিন্দা জানাই।
তাহিরপুর উপজে’লা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণ সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান,প্রতি বছরেই উপজে’লায় সর্ব সাধারণের অ’সুবিধার কথা বিবেচনা করে ঈদ উপলক্ষে উপজে’লায় সকল চেয়ারম্যানগনে উপস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ স্থান গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার চেয়ারম্যানগন মাসিক সমন্নয় সভায় হঠাৎ করেই কোন কারন ছাড়াই সভা
বয়কট করায় রেজুলেশনের করা হয় নি। যার জন্য এই অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এর দায় দায়িত্ব চেয়ারম্যানদের কেই নিতে হব।
সুনামগঞ্জ জে’লা প্রশাসক আব্দুল আহাদ জানান,আম’রা জানামতে এই দুটি বাজার ইজারা দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য বলছি। আর কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে গরুর হাট প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেব।