কেএম সুজন, টাংগাইল প্রতিনিধিঃ টাংগাইলের নাগরপুরে মো. মাসুদ মিয়া (২০) নামের ছোট ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ সহোদর বড় ভাই মতিয়ার রহমান (৩৫) গ্রেফতার।
এ ঘটনায় পুলিশ পিতা সাবেক ইউপি সদস্য মো.মফিজ উদ্দিনকে ঐ দিনই আটক করেছিল নাগরপুর থানা পুলিশ। তবে এ ঘটনার মূল ঘাতক বড় ভাই মতিয়ার রহমানকে ৪ দিন পলাতক থাকার পর তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌকশ পুলিশ সদস্যের একটি দল এস আই মো. ইদ্রিস আলী নেতৃত্বে এসআই আব্দুল আলিম, এসআই আফজাল হোসেন সহ সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের টেগুরি গ্রামের মোতালেব এর বাড়ির সামনের কাঁচা রাস্তা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বুধবার সকালে মতিয়ার কে বিজ্ঞ আদালতের প্রেরন করে রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ আদালত ১ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাশাদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশাদহ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মফিজ উদ্দিনের মাদকাসক্ত ছেলে মাসুদ শুক্রবার সকালে তার বাবার কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করলে মফিজ উদ্দিন তা দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে পিতা পুত্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মাসুদ উত্তেজিত হয়ে বাড়ির ফ্রিজ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় পিতা মফিজ উদ্দিন ছেলেকে নিবৃত করতে চড় থাপ্পড় মারে। এতে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরবর্তীতে বড় ভাই মতিয়ার কোদালের ঘাড়া দিয়ে মাদকাসক্ত মাসুদকে উপুর্যপুরি পেটালে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্বজনরা অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ জানান, এ ঘটনায় নিহতের পিতা সাবেক ইউপি সদস্য মফিজ উদ্দিনকে আটক করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এবং আমাদের একটি চৌকস দল ঘটনার মাত্র ৪ এর মধ্যেই অপর পলাতক আসামী মতিয়ার কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।