১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

নিরীহ শিক্ষকের বসতঘর উচ্ছেদের অভিযোগ, অপরাধী ছেড়ে ভূক্তভোগীদের বিরুদ্ধে চাদাবাজির মামলা নিল পুলিশ

অভিযোগ
প্রকাশিত অক্টোবর ১৬, ২০১৯
নিরীহ শিক্ষকের বসতঘর উচ্ছেদের অভিযোগ, অপরাধী ছেড়ে ভূক্তভোগীদের বিরুদ্ধে চাদাবাজির মামলা নিল পুলিশ

স্টাপ রিপোটারঃ- সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার রোকনপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী মৃত: আমিন উল্লার ছেলে মিজান এলাহি দীর্ঘদিন হইতে চাচাই ভাই মাদ্রাসা শিক্ষক মাঃ আব্বাস আলীর বসত ভিটার উপর কু-নজর পড়ে।

প্রাথমিক ভাবে ভূমিটি ছেড়ে দেবার জন্য আব্বাস আলীকে চাচাত ভাই লন্ডন প্রবাসী মিজান এলাহি বাড়িটি তার নামে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং গত ২১/০৬/১৮ইং তারিখে একটি কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে নিরীহ শিক্ষকের ভাই, বিবাহিত বোন, ভাগনি সহ আদালতে মামলা করলে নিরপেক্ষ তদন্তে তা মিথ্যা প্রমানিত হয়।

ভূমি খেকো মিজান এলাহি তার হিন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষে একের পর এক হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ শিক্ষক কে হয়রানী করে আসছে। অতঃপর ওসমানী নগর থানার লম্পট ও দুর্নীতিবাজ ওসি এস.এম. আল মামুন, লন্ডন প্রবাসি মিজান এলাহি কতৃক বড় অংকের টাকার বিনিময়ে গত ২৩/০৫/১৯ইং তরিখে আবার ও একটি কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে মাওলানা আব্বাস আলীর পর্দানশীল স্ত্রী পারবিন বেগম শশুড় বাড়িতে থাকা বিবাহিতা বোন ভাগনি সহ আসামি করে ঐ দিনই রাত ৯ ঘটিকায় পাচটি শিশু সন্তান সহ মহিলাদেরকে অপমান করে মহিলা পুলিশ ছাড়াই নিষ্ঠুর ভাবে জেল হাজতে পাঠায়। পরবর্তিতে জামিনে আসলেও গত ২৭/০৫/১৯ইং তারিখে মিজান এলাহির ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে নিরীহ আব্বাস আলীকে এক কাপড়ে বাড়ি হইতে বিতাড়িত করে দেয়।

এরপর হইতে পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাজপুরুস্ত ভারাটিয়া বাসায় অবস্থান করতে থাকেন নিরীহ আব্বাস আলী সেখানে ও মিজান এলাহির গুন্ডা বাহীনির হুমকি ছিল কিন্তু স্থানীয় জনগন আব্বাস আলীকে সহায়তা করায় দুরবৃত্তদের মিশন ব্যর্থ হয়। একজন নিরীহ সহজ সরল শিক্ষক অর্থহীন অবস্থায় অতিকষ্টে দিনাতিপাত করিতেছেন। একদিকে দুর্নীতিবাজ ওসির দাপট অন্যদিকে মিজান এলাহির গুন্ডাবাহিনী চাপ নিরীহ শিক্ষক আব্বাস আলী কোথাও কোন ভরসা না পেয়ে সর্বশেষ গত ২৫/০৮/১৯ইং তারিখে সিলেটস্থ একটি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ এর অফিসে ন্যায় বিচারের সার্থে বিস্থারিত বিবরণ উল্লেখ করে দরখাস্থের মাধ্যমে আশ্রয় গ্রহণ করলে সংস্থায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়কে অবগত করে গত ০৪/০৯/১৯ইং তারিখে ৪ সদস্যের পরিদর্শক দল পরিদর্শন করে জানা যায় যে লন্ডন প্রবাসী মিজান এলাহি কতৃক নিরীহ শিক্ষক আব্বাস আলী ও তার পরিবারকে ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে নির্যাতন হয়রানী ও সংস্লিষ্ট থানার লম্পট ওসি আল মামুনকে দিয়ে একাধিক বার মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ ও নিজ পৈত্রিক ভিটামাটি হইতে বিতাড়িত করিয়াছে মর্মে সত্যথা পাওয়া যায়। যে কারনে সংস্থা কতৃক নিরীহ নির্যাতিত আব্বাস আলীর দরখাস্তখানা সংস্থার মাধ্যমে মাননীয় ডি.আই.জি. ও পুলিশ সুপার সিলেট বরাবরে গত ২৬/০৯/১৯ইং তারিখে প্রেরন করা হয়।উক্ত দরখাস্থের সংবাদ ওসি আল মামুন ক্ষুদ্য হইয়া লন্ডন প্রবাসী মিজান এলাহী গুন্ডা বাহিনীকে গুপনে ডেকে এনে গত ১১/১০/১৯ইং তরিখে নিরীহ আব্বাস আলীর ঘর ভাঙ্গার নির্দেশ দেন, এতে নিরীহ শিক্ষক আব্বাস আলী তার বসতভিটা ভাঙ্গা শুরু করলে তাৎক্ষনিক ভাবে সংস্লিষ্ট থানাকে অবগত করলে সংস্লিষ্ট থানার পুলিশ ঘঠনার স্থলে গিয়ে দুই জন দুরভিত্তকে আঠক করে ও পরবর্তীতে ওনি আল মামুনের নির্দেশে দুরবিত্তদের ছেড়ে দিয়ে নিরীহ আব্বাস আলীর সাক্ষিসহ থানায় নিয়ে এসে, দুর্নীতিবাজ ওসি মামুনের নির্দেশে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে গত ১২/১০/১৯ইং তারিখে আব্বাস আলী সহ চার জনকে জেলে প্রেরন করে ঐ দিনই মানবাধিকার কর্মি ও সাংবাধিক সম্মনয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে প্রকৃত বিষয়টি অবগত করলে এবং নিরীহ শিক্ষকের স্ত্রী পারভিন বেগম পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাত করেন। উক্ত বিষয়ে স্থানীয় প্রতিবাদী জনতা গত ১৩/১০/১৯ইং তারিখে মানববন্ধন করেন, গত ১৪/১০/১৯ইং তারিখে পুলিশ সুপার ঘঠনার স্থান পরিদর্শন করে আব্বাস আলীর পরিবারের ঘর ভাঙ্গা ও নির্যাতনের সত্যথা পাওয়ায় আব্বাস আলীর স্ত্রী পারভিন বেগমের মামলা গ্রহন ও এফ আই আর ভূক্ত হয় এবং ঐ রাতেই চার সস্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে। বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা অবগত আছেন। এখন পর্যন্ত পূর্বের অবস্থা বহাল আছে নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করা হয় নাই।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031