১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা ঘটনায় জড়িত আটককৃত রুমমেট মিজানুরের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ

অভিযোগ
প্রকাশিত অক্টোবর ১০, ২০১৯
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা ঘটনায় জড়িত আটককৃত রুমমেট মিজানুরের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ

ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা ঘটনায় তার রুমমেট মিজানুর রহমানকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।

জানা গেছে, আটক মিজানুর রহমান মিজানুর রহমানের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চককির্তি ইউনিয়নের পিরানটোলা। তার বাবা মদুল আলী একজন কাপড় ব্যবসায়ী।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুম থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি দেখেছেন শেরেবাংলা হলের মেস বয় আবদুল কাদের।

আজ সকালে ঢাকার সবুজবাগ থেকে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা গ্রেফতারের পর আবরারের রুমমেট আটকের ঘটনা ঘটল।

ঘটনাটি নিশ্চিত করে প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল কাদের গণমাধ্যমকে জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিজানকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। আটক মিজানুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটার রিসোর্চ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আবরারের মরদেহ উদ্ধারের পর ১০১১ নম্বর রুমটা একদিন বন্ধ ছিল। এর পর আবরারের বাকি রুমমেটরা সেখানে থাকতে শুরু করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেটোপলিটন পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। পরে আবরার হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বুয়েটের শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থী, সিসিটিভি ফুটেজ ও আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত যাদের নাম এসেছে, অমিত সাহা, মুজতাবা রাফিদ, ইফতি মোশাররফ সকাল, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ কয়েকজন। তারা সবাই মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্।

এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবরার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১০ আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031