২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সুন্দরগঞ্জে পাট চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

অভিযোগ
প্রকাশিত জুলাই ১০, ২০২১
সুন্দরগঞ্জে পাট চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

সুন্দরগঞ্জে পাট চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

 

মো: আ: রহমান শিপন, রংপুর বিভাগীয় ব‍্যুরো প্রধান

গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জে মৌসুমি ফলন পাট চাষীরা ব্যাস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষকরা। এবার দেশে এখনো তেমন কোনো বন্যা না হওয়ায় উচ্চফলনশীল বীজ ও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ভাল উৎপাদন হয়েছে কিন্তু বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় আশা করছে পাট চাষীরা। যদিও মৌসুমের প্রথম দিকে পানির কারণে পাট খেত শুকিয়ে যাচ্ছিল। পরে বৃষ্টি হওয়াতে পাট গাছে সতেজতা আসে।
অন্যবারের তুলনায় এবার উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে এবার পাটের ফলন ও মান বেশ ভাল প্রতি বিঘায় প্রায় ১০ থেকে ১২ মণ ফলন পাওয়া যাবে। আর সঠিক দাম পেলে প্রতি বিঘায় শুধু পাট বিক্রি করেই কৃষক লাভবান হবে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তার সঙ্গে পাটখড়ির দাম যুক্ত করলে প্রতি বিঘায় এবার কৃষকের লাভ হচ্ছে ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। তবে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ থাকার আশংঙ্কা যাওয়ায় এবার পাটের দাম নিয়ে চিন্তিত চাষীরা। তবে মৌসুমের শুরুতেই ভাল দাম পাওয়ায় সব শঙ্কা উড়ে গেছে পাট চাষী দের। ব্যক্তি মালিকানাধীন পাটকলগুলো যথাযথ মূল্যে পাট কেনা শুরু করলে ভালো লাভের আশা করছে পাট চাষ করে কৃষকরা। গত বছরের চেয়ে এবার চলতি মৌসুমে বেশি উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাট কাটা শুরু হয়েছে। তবে এখনো তেমন একটা বন্যার পানি না থাকায় পাট জাগ দেয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উজানের পাট চাষীরা। কিন্তু টানাবর্ষণে খালগুলোতে পানি জমাট বাধার কারনে সেখানে পাট জাগ দিচ্ছে তারা। তবে বন্যার পানি না থাকায় পাটের রং ভালো আসবে না বলে মন্তব্য চাষীদের। তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় কৃষক এখন পাট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। কোথাও তারা পাট কাটছেন ও আবার অনেক স্থানে পাট জাগ দিচ্ছে।
অনেকে আঁশ ছাড়িয়ে, পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে বিক্রির জন্য বাজারে নিচ্ছে। পাট চাষের প্রধান সমস্যা হলো আঁশ পচানোর পানি। অন্য বছর কৃষক পাট নিয়ে পানির পেছনে ছুটলেও এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়াতে তারা পাট ক্ষেতেই পাশের গর্ত গুলোতে জাগ দেয়ার কাজ সাড়ছে। পাট মূলত বৃষ্টিনির্ভর ফসল। এবারও মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হয়নি। তখন পাটগাছের বৃদ্ধি কিছুটা কম হয়েছে। কিন্তু পাট কাটার সময় প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় পাট জাগ দিতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। তাতে পরিবহন ব্যয়ও সাশ্রয় হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে এবার পাট চাষে খরচ অনেক কম হয়েছে। নদীর পানির বিষয়ে পানি উন্নয়ন প্রকৌশলির সাথে কথা হলে তিনি জানান আগামী ১৩/১৫ তারিখের মর্ধে বন্যার পানি হওয়ার আশংঙ্কা আছে যা ইতোমধ্যে তিস্তার পানি শাখা নদী গুলোতে ঢোকা শুরু করেছে। পাটের ফলনেরর বিষয়ে কথা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রেজা-ই-মাহামুদ এর সাথে তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার পাটের উৎপাদন বেশি হবে আশা করা যায়। এবার চাষ প্রথমে বৃষ্টি না হওয়ায় সমস্যা হলেও শেষের দিকে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে আশা করা যায় এবারও কৃষকরা বাজারে সঠিক মূল্য পাবেন।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30