শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-
শেরপুর জেলার শ্রীবরর্দী উপজেলা আওয়ামীলীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আহসান হাবিব শাকিলের বাসার কাজের মেয়েকে অকথ্যা নির্যাতনের অভিযোগে শাকিলের স্ত্রী রাবেয়া আক্রার ঝুমুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শাকিল ওই উপজেলা আওয়ামীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি আশরাফ হোসেন খোকার ছেলে।নির্যাতিত ওই গৃহকর্মীর নাম সাদিয়া উরফে ফেলি(১০)।ফেলি শ্রীবরর্দী পৌর এলাকার মুন্সিপাড়া মহল্লার গরীব কৃষক সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
জানা গেছে ১১ মাস আগে ফেলিকে গৃহকর্মী হিসেবে আনা হয়।চুন থেকে পান খসলেই এই অবোঝ শিশুটিকে অকথ্য নির্যাতন করে শাকিলের স্ত্রী ঝুমু।ওই গৃহকর্মী ছোট মানুষ হলে কাজ দেওয়া হতো বড় বড়।সংসারের সকল কাজ তাকেই করতে হতো।এর ধারা বাহিকতায় গত ১৫ দিন ধরে মেয়েটির উপর নির্যাতন চলে আসছিল।
নির্যাতনের কারনে বেশী অসুস্থ হয়ে পড়লে দুইদিন আগে মেয়েটিকে বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।সার্বিক বিষয়টি গতকাল শুক্রবার রাতেই ৯৯৯ এ জানালে পুলিশ রাত ১২টায় ওই অভিযুক্ত ঝুমুরকে বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে শেরপুর সদর থানা হাজতে পাঠিয়ে দেয়।ঝুমুরকে অভিযুক্ত করে শ্রীবরর্দী থানায় মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভিকটিমকে রাতেই শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থা সংকাটাপন্ন হওয়ায় আজ দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।সাদিয়া জানিয়েছে শুধু নির্যাতন নয় তাকে খাবার পর্যন্ত দেওয়া হতো না।
পশুর মত নির্যাতন করলেও কেউ ফিরাতো না।বাড়ী যেতে চাইলেই বেদম প্রহার করা হতো।বাবামা কারও সাথে দেখা করতে দেওয়া হতো না।
মেয়েটি নির্যাতনের কারণে এখন তেমন কথাও বলতে পারে না।সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক খায়রুল কবির সুমন জানিয়েছে মেয়েটির উপর অমানবিক নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে যা দীর্ঘদিন ধরে করা হচ্ছে। আপাদ মস্তক তার নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।পেটে পানি এসে গেছে।সাদিয়া সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন ডাঃসুমন।শেরপুর এএসপি( সার্কল) আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন অভিযুক্তকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।মেয়েটিকে রক্ষা করতে পুলিশ সার্বিক প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছে।