২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নগরীর আরো ৩৭ কিলোমিটার সড়ক কাটবে বিটিসিএল

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০
নগরীর আরো ৩৭ কিলোমিটার সড়ক কাটবে বিটিসিএল

 

আব্দুল করিম,চট্রগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ-

চট্টগ্রাম শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ‘পোর্ট কানেকটিং রোডে (পিসি রোড) চলছে উন্নয়ন কাজ। তবে এই কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ফের শুরু হবে ভোগান্তি।

 

কেননা সড়কটির উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার পরপরই একই রাস্তায় কাজ করবে বিটিসিএল।

 

কারণ বর্তমানে চলমান পিসি রোডের উন্নয়ন কাজের সাথে বিটিসিএল’র কাজের অনুমতি মিলছে না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে আগামী ডিসেম্বরের আগে ওই সড়কে কাজ না করার কথা জানানো হয়েছে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষকে।

 

চট্টগ্রাম শহরে বর্তমানে বিটিসিএল’র ‘মর্ডানাইজেশন অব টেলি-কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক (এমওটিএন) প্রজেক্টের কাজ চলছে।

 

চলমান এই প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ২৩৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করা হবে।

 

যার ১৫৯ কিলোমিটার ফাইবার ক্যাবল ইতিমধ্যেই স্থাপন করা হয়ে গেছে। বাকি আছে মাত্র ৭৬ কিলোমিটার ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের কাজ।

 

এসব আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপন করতে বিটিসিএলকে ১৯০ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল পথ তৈরি করতে হচ্ছে। যার মধ্যে ১৫৩ কিলোমিটারের কাজ শেষ এবং বাকি আছে মাত্র ৩৭ কিলোমিটার।

 

এ বিষয়ে বিটিসিএল চট্টগ্রাম অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ইতেমধ্যে আমরা বায়েজিদ, মুরাদপুর, চকবাজার, লালখান বাজারসহ অনেক জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করে ফেলেছি।

 

কিন্তু আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ও পোর্ট কানেকটিং রোডে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বলা হচ্ছে সেখানে জাইকার প্রজেক্টের সড়ক উন্নয়নের কাজ চলছে।

 

সেই কাজের মাঝখানে বিটিসিএল ক্যাবলিংয়ের কাজ করলে জাইকার প্রজেক্ট ব্যাহত হবে।

 

অথচ এই মুহূর্তে আমরা পিসি রোডে আন্ডারগ্রাউন্ড ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করে ফেলতে পারলে পরবর্তীতে রোড কাটার জন্য জনগণকে ভোগান্তি পোহাতে হতো না’।

 

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘সাধারণত কোন সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হয়ে গেলে সেই সড়কে অন্তত এক বছরের জন্য আর খোঁড়াখুঁড়ির অনুমতি দেওয়া হয় না।

 

তবে যেহেতু পোর্ট কানেকটিং রোডের কাজ চলমান আছে তাই বিটিসিএল চাইলেই সেখাতে তাদের কাজের অনুমতি দিয়ে দেওয়া হবে।

 

এছাড়া আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের কাজেরও অনুমতি দিয়ে দেওয়া হবে’।সরকারি সেবাসংস্থাগুলোর মধ্যে নূন্যতম সমন্বয় না থাকায় এক সংস্থা কাজ করে যেতে না যেতেই আরেক সংস্থা আসে খোঁড়াখুঁড়ির কাজে।

 

পরিকল্পনা না থাকায় খেসারত দিতে হয়, তখন আবার অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় এবং ভোগান্তিতে পড়তে হবে নগরবাসীকে। এজন্য সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

তাদের পরামর্শ, একমাত্র মন্ত্রণালয়কেই এ সমস্যা সমাধানে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

পরিকল্পনা করতে হবে কিভাবে একই সময়ে সেবা সংস্থাগুলোর কাজের অনুমোদন, কাজের ব্যাপ্তি, পারস্পরিক বোঝাপড়ারা মাধ্যমে একসঙ্গে করা যায়।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031