২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভোলায় খেজুরের রস সংগ্রহ করতে ব্যস্ত গাছিরা

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ১১, ২০২০
ভোলায় খেজুরের রস সংগ্রহ করতে ব্যস্ত গাছিরা

 

টিপু সুলতান, ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ-

প্রবাদ আছে ‘ভোলার যশ খেজুরের রস’ ভোলার উপজেলার প্রতিটি গ্রামে খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে গাছিদের। খেজুর গাছের অগোছালো শুকনা পাতাগুলো ফেলে দিয়ে গাছগুলোকে নতুন চেহারায় আনছে গাছিরা। রস বের করার জন্য গাছকে প্রস্তুত করে নলি ও ঠিলে (ভাড়) ঝুলিয়ে দিবেন। তারা এই রস দিয়ে তৈরি করেন সুস্বাদু গুড় এবং পাটালি। একসময় ভোলা সহ প্রতিটি উপজেলায় মাঠ এবং রাস্তার দুইধারে সারি সারি অসংখ্য খেজুর গাছ ছিলো। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এই সব খেজুর গাছ। কিন্তু এখনো যে গাছ গুলো আছে তা থেকেই শীতের রস সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছেন গাছিরা। ছয় ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ।ছয় ঋতুর মধ্যে হেমন্ত একটি উল্লেখযোগ্য ঋতু আর এই ঋতুতেই আসে শীত,,,সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকা খেজুর গাছগুলোকে নতুন করে সুসজ্জিত করেন গাছিরা এবং রস সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছেন তারা। এর ফলে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা ভোলার উপজেলার খেজুর গাছগুলো কদর বেড়েছে গিয়েছে। এখনো তেমন শীতের প্রভাব না পড়লেও খেজুর রস সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। গাছের সংখ্যা অল্প থাকার কারণে চাহিদা অনুযায়ী রস পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করেছে অনেক গাছিরা।

এ ব্যাপারে গাছিরা বলেন খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া রস,গুড় ও পাটালির দাম থাকে একটু চড়া। তবু এই রস নিতে ভুল করেন না সকল শ্রেণীর মানুষ। কাঁচা রস প্রতি ভাড় ১২০ থেকে ১৫০ টাকা হয়ে থাকে। আর পাটালী প্রতি কেজি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। এছাড়া খেজুর পাতা দিয়ে তৈরী করা হয় আর্কষণীয় ও মজবুত শীতল পাটি।কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনসহ বন বিভাগের নজরদারী না থাকায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশবান্ধব খেজুর গাছ এখন প্রায়ই বিলুপ্তির পথে।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30