২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

টুঙ্গিপাড়ায় নিয়মিত অফিস করেননা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা

অভিযোগ
প্রকাশিত আগস্ট ৬, ২০২০
টুঙ্গিপাড়ায় নিয়মিত অফিস করেননা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা

 

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পেনশনের টাকা তুলতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীরা।

 

কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস না করায় এমন ভোগাান্তির স্বীকার হচ্ছেন চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্তরা।

 

এমনই অভিযোগ উঠেছে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। পেনশনের টাকা তুলতে তার অফিসের সামনে ধর্না দিয়ে বসে থাকলেও তার দেখা মেলে না। তিনি মাসে দু’দিনও অফিস করেনা বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

 

কিন্তু হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন নিয়মিত অফিস না করলে উপজেলা চলে কিভাবে।

 

জি.টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশনের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে তোলার জন্য অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করার নির্দেশ আসে। তখন অবসরপ্রাপ্তদের ডাটা এন্ট্রি করার জন্য হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান দুইমাস সময় নিয়েছিলেন।

 

কিন্তু তিন-চার মাস পার হলেও তিনি ডাটা এন্ট্রির কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি। কারন তিনি মাসে দু’দিনও অফিস করেন না। বেশিরভাগ সময় ঢাকায় বসবাসরত পরিবারের সাথে থাকেন। কর্মকর্তা না থাকায় অবসরপ্রাপ্তদের পেনশনের টাকা তুলতে পরতে হয় ব্যাপক ভোগান্তিতে। উনি উৎকোচের আশায় রয়েছেন। কিন্তু আমরা উৎকোচ দেইনি তাই ডাটাএন্ট্রির কাজ হচ্ছে না।

 

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ফরিদ আহম্মেদ বলেন, আমরা যখনই পেনশনের টাকা তুলতে আসি সেদিন ঐ কর্মকর্তা থাকেনা। এভাবে কয়েকদিন হিসাব রক্ষণ অফিসে আসলেও তার দেখা পাওয়া যায় না। এতে এই বৃদ্ধ বয়সে ভোগান্তির শেষ থাকেনা।

 

কাষ্টমস থেকে অবসরপ্রাপ্ত এমদাদুল হক জানান, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ঠিকমত অফিস করেনা। আর কখনো আসলেও নানান অজুহাত দেখায়। তিনি ইচ্ছামতো অফিস পরিচালনা করেন। দেশের সব জায়গায় অবসরপ্রাপ্তদের ডাটাএন্ট্রির কাজ হয়ে গেছে। কিন্তু এখানে হচ্ছে না। ঐ কর্মকর্তা টাকা খাওয়ার জন্য আমাদের হয়রানি করতেছে।

 

এছাড়া পেনশনের টাকা তুলতে আসা অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীদের অনেকেই একই অভিযোগ করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। যার ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে।

 

নাম প্রকাশে না করার শর্তে উপজেলার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি নিয়মিত অফিসে না আসায় বেতন-ভাতা তুলতে পারেননি।

 

এবিষয়ে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান নিয়মিত অফিস করেন জানিয়ে বলেন, নিয়মিত অফিস না করলে উপজেলা চলে কিভাবে। তবে পরিবার ঢাকা থাকার কারনে বৃহস্পতিবার চলে যাই। তাই রবিবার আসতে একটু দেরি হয়। আর অবসরপ্রাপ্তদের ডাটাএন্ট্রির কাজ সার্ভারে সমস্যার কারণে করা হয়নি। আর তিনি কোন উৎকোচ নেন না বলেও জানান।

 

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাকিব হাসান তরফদার মুঠোফোনে জানিয়েছেন, মৌখিকভাবে আগেও তাকে এবিষয়ে সতর্ক করে নিয়মিত অফিস করার জন্য বলা হয়েছে। আর অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীদের সাথে কথা হয়েছে। দ্রুত এর সুরাহা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30