মোঃমনিরুজ্জামান (মনির),রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
গত দশ বছর পূর্বে মোঃ সিদ্দিক হোসেন, পিতা-মৃত নইমুদ্দি, মাতা-মোছাঃ সালেহা খাতুন, সাং-খারুভাজ (সরলখাঁ), থানা-আদিতমারী, জেলা-লালমনিরহাট তার নিজ এলাকা থেকে হারিয়ে যায়।
গত ২৯/০১/২০২০ খ্রি. সকাল অনুমানিক ১০.০০ ঘটিকায় জনৈক মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৪৫), পিতা-মৃত রেয়াজ উদ্দিন, সাং-বাহার কাছনা স্কুলপাড়া (মজিদ মার্কেট), থানা-হারাগাছ, রংপুর মহানগর, তার বসত বাড়ীর পাশের মার্কেটে রাজা দেওয়ানীর হার্ডওয়ারের দোকানের সামনে বর্ণিত ব্যক্তির দেখা পানা। এসময় মোঃ জাহিদুল ইসলাম বর্ণিত ব্যক্তিকে নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। নাম -ঠিকানা সঠিকভাবে বলতে না পারায় উক্ত ব্যক্তিকে জাহিদুল ইসলাম নিজ বাসায় নিয়ে যান। তিনি বৃদ্ধ ব্যক্তিকে নিজ পিতার ন্যায় সেবা করতে থাকেন।
স্থানীয় লোকজনের পরামর্শ নিয়ে এ বিষয়ে মোঃ জাহিদুল ইসলাম গত ০২/০২/২০২০ খ্রি. হারাগাছ থানাকে অবহিত করণের লক্ষ্যে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার সাধারণ ডায়েরী নং-৬৬।
বৃদ্ধ ব্যক্তি জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থানের একপর্যায়ে হঠাৎ তার নাম সিদ্দিক এবং গ্রামের নাম সরলখাঁ প্রকাশ করেন। মোঃ জাহিদুল ইসলাম দ্রুততার সাথে গত ০৫/০২/২০২০ খ্রি. বৃদ্ধের নাম ও গ্রামের নাম থানাকে অবহিত করেন।
হারাগাছ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ রেজাউল করিম বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে বর্ণিত নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনের সন্ধানে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার কর্তব্যরত এসআই(নিঃ) রনজু মিয়াকে বর্ণিত ঠিকানায় প্রেরণ করেন।
তিনি উক্ত ঘটনার অনুসন্ধানকালে জানতে পারেন যে, বর্ণিত ঘটনাটি সত্য এবং আরো জানা যায়, বৃদ্ধ বিগত দশ বছর যাবত মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে তার নিজ বাড়ী থেকে চলে যান। পেশায় তিনি একজন কৃষক। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক।
অতঃপর তার স্ত্রী মোছাঃ রশিদা বেগম স্বামীর সন্ধান পেয়ে হারাগাছ থানায় এসে তাহার দশ বছর যাবৎ নিখোঁজ উদ্ধারকৃত স্বামীকে পেয়ে আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
আজ ০৬/০২/২০২০ সময় ১৪.৩০ ঘটিকায় বর্ণিত নিখোঁজ ব্যক্তিকে তার স্ত্রী ও স্বজনদের জিম্মায় প্রদান করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার(অপরাধ) জনাব কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ ফারুক আহমেদ, সহকারী পুলিশ কমিশনার (মাহিগঞ্জ জোন), হারাগাছ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ রেজাউল করিম এবং সন্ধানপ্রাপ্ত বৃদ্ধের আত্মীয়-স্বজন।