
বশেমুরবিপ্রবি,গোপালগঞ্জ: আমার কাছে ঈদ সবসময়ই বিশেষ উদযাপনের, উপভোগের। সারাবছর এক প্রকার বিশেষ অপেক্ষা নিয়েই থাকা হয় ঈদের জন্য। শুধু আমার কাছে না , আমার মনে হয় প্রায় সবার কাছেই ঈদ মানেই স্পেশাল।কিন্তু এতোটুকুও যখন বুঝতাম না, কিংবা যখন একটু একটু বুঝতে শুরু করেছিলাম ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া অর্থাৎ শৈশবের রঙিন দিনগুলোতে কাটানো ঈদের কথা বলছি। তখন ঈদ আরো বেশি আনন্দের ছিল, আরো বেশি সাবলীল সুন্দর। খুব মন দিয়ে উপভোগ্য এবং সকল ধরনের কৃত্রিমতার স্পর্শ ছাড়াই প্রাণস্পর্শে ভরপুর।
এখন স্মৃতির পাতায় শৈশবের ঈদ তারপরও মনে হয় এইতো সেদিনের কথা। ঈদের আগে আগে স্কুলের ছুটির নোটিশ হাতে পেতেই যেন এক প্রকারের ঈদ শুরু হয়ে যেত, এরপর নতুন জামা কেনা, ঈদের চাঁদ দেখা, সবাই একসাথে মিলে হাতে মেহেদী মাখা, ঈদের দিন খুব ভোরে উঠেই আব্বু-আম্মু, আম্মা ( চাচী আম্মা), বাড়ির বড়দের সালাম করা, কচকচে নতুন টাকা সালামি নেওয়া। জমজমাট ঈদ। এরপর একের পর এক বাটি বাটি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের সেমাই, মিষ্টি সারাদিন। আব্বুর সাথে সাজগোজ করে ঈদগাহ ময়দানে যাওয়া, ঈদের মেলায় কেনাকাটা করা এসবই এখন নিকটতম স্মৃতি। মনে হয় এইতো সেদিনের কথা। ভালো লাগে, ভাবতেই মনে হয় ঈদ-ঈদ।
তাই এখন বুঝতে পারি ঈদ আসে কিছুটা হলেও শৈশবের আনন্দ ফিরিয়ে নিয়ে। ঈদ আসে নির্মলতা নিয়ে। আনন্দ নিয়ে। ঈদ বয়সের ভেদাভেদ জানে না, আনন্দে মন শিশু হয়ে ওঠে। তাই শৈশব থেকে যায় ঈদ আনন্দে।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। সবার জীবনে ঈদ আসুক বিশেষ থেকে বিশেষতর হয়ে, সকল দুঃখ- অবসাদ-দুশ্চিন্তাকে সাময়িক ছুটি দিয়ে হলেও ঈদ সবার জীবনে বিশেষ আনন্দ বয়ে আনুক।
উম্মে হাবিবা শীলা
বাংলা বিভাগ,চতুর্থ বর্ষ
বশেমুরবিপ্রবি,গোপালগঞ্জ।