
অনলাইন ডেস্ক: ব্রয়লারের মুরগির দাম না কমলে আমদানি মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
আজ বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের সভাকক্ষে পোল্ট্রি খাতের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ থেকে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।যদিও সভায় উপস্থিত সাধারণ খামারিরা জানিয়েছেন প্রতি কেজি ব্রয়ডলারে মুরগির উৎপাদন খরচ ১৬৭ টাকা, আর কর্পোরেটদের উৎপাদন খরচ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। এসব মুরগী দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে ২০৫ থেকে ২০৭ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। যা খুচরা পর্যায়ে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে, উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মূল্যের এই বিশাল ব্যবধানের নিয়ে সভা থেকে আপত্তি করা হয়। এবং যৌক্তিক দাম নির্ধারণের জন্য প্রস্তাব করা হয়। আর তা না হলে- বিদেশ থেকে আমদানি করার পরামর্শ দিয়েছেন কেউ কেউ।
সফিকুজ্জামান বলেন, আমার যেটা ধারণা, আজকের আলোচনার পরে নিঃসন্দেহে মুরগির দাম পড়তির দিকে থাকবে। এরপরেও যদি দেখা যায়, কাজ হচ্ছে না। সেখানে আমরা বানিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে হয়তো- আমদানি উন্মুক্ত করে দিতে হতে পারে।সেটাও আমি (বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কে) জানাবো- যদি মনে হয় যে, কোনোভাবেই কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না। তাহলে কেন আমি ভোক্তাদেরকে, ১৬ কোটি মানুষকে সাফার করাব।সেখানে আমদানি করে যদি ১৮০ টাকায় মুরগি খেতে পারি, আমদানি করে যদি ৮ টাকা ডিম খেতে পারি, তাহলে আমাকে তো সে বিষয়গুলো ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় দেখতে হবে। পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে বিষয়গুলো আসবে।সভায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) প্রতিনিধি আবদুল হান্নান,ভোক্তার পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ পোল্ট্রি খাতের কর্পোরেট ব্যবসায়ী, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারের ব্রয়লার মুরগির পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।