২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

দুদকের আসামিকে বশেমুরবিপ্রবি’তে নিয়োগের গুঞ্জন

অভিযোগ
প্রকাশিত মে ১৪, ২০২৩
দুদকের আসামিকে বশেমুরবিপ্রবি’তে নিয়োগের গুঞ্জন

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়াকার্স দপ্তরের পরিচালক পদে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে নিয়োগের গুঞ্জন উঠেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)। সাজাপ্রাপ্ত মো. ইউনুস শরীফ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্ত ইউনুস শরীফ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পবিপ্রবির টিএসসি ভবনের সম্প্র্রসারণ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করলে ৯টি দরপত্র জমা পরে। এসব দরপত্রের মধ্যে অনিক ট্রেডিং করপোরেশন তিন কোটি দুই হাজার ৪৯৫ টাকার দরপত্র দিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হন। তবে স্টার লাইট সার্ভিসেস লিমিটেড নামে অপর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিন কোটি ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৩ টাকা দর দিয়ে দরপত্র দাখিল করেন। পরে তিনি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে সর্বনিম্ন দরদাতা অনিক ট্রেডিং কর্পোরেশনকে বাদ দিয়ে স্টার লাইট সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শফিকুল হক তালুকদারের সঙ্গে যোগসাজশে তাকে সর্বনিম্ন ঠিকাদার হিসাবে মূল্যায়ন কমিটির সভায় উপস্থাপন করে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে তাকে কার্যাদেশ প্রদান করে। এতে পবিপ্রবির ১৪ লাখ ৯২ হাজার, ৩৭৭ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়।

এই ঘটনার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি তদন্ত করে এ ঘটনার সত্যতা পায়। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সে সময়ে পটুয়াখালী সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের মাধ্যমে তাকে ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জেলহাজতে পাঠায়। একই ঘটনায় পবিপ্রবি থেকে ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তদন্তাকালে ইউনুস শরীফ ওই ক্ষতিপ্রাপ্ত হওয়া ১৪ লাখ ৯২ হাজার, ৩৭৭ টাকা সরকারি কোষাগারে জমাও দেন। এছাড়াও আÍসাৎকৃত টাকা স্বেচ্ছায় ফেরত দেওয়ায় তদন্ত শেষে দুদকের অভিযোগপত্রে ইউনুস শরীফের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়।

এ ছাড়া দুদক স্টার লাইট সার্ভিসেস লিমিটেডে নামে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করে।

বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, তাকে এখনও লিখিতভাবে নিয়োগ দেয়নি। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। তবে ইউনুস শরীফকে যেন নিয়োগ না দেওয়া হয় এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অনেকে ষড়যন্ত্র করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media
March 2024
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031