১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বায়োলজিক মেডিসিনই আগামীদিনে বহুল ব্যবহৃত হবে; ডা. রিয়াদ

অভিযোগ
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৮, ২০২২
বায়োলজিক মেডিসিনই আগামীদিনে বহুল ব্যবহৃত হবে; ডা. রিয়াদ

অনলাইন ডেস্কঃ ডায়াবেটিস, বাত ও সোরিয়াসিসের মতো রোগের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে বায়োলজিক ওষুধ। তবে এ জন্য ডাক্তার, রোগী ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়োলজিক মেডিসিন সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, নীতিনির্ধারক ও বিভিন্ন অংশীজনদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘প্রথম বায়োলজিক সামিট-২০২২’। সম্প্রতি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে নোভারটিসের উদ্যোগে এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বায়োলজিক মেডিসিনের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক, এর ব্যবহারবিধি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে এক্সপার্ট প্যানেল হিসেবে ছিলেন কনসালটেন্ট ফিজিসিয়ান জেনারেল, বাংলাদেশ আর্মড ফোর্স ও ডিরেক্টর জেনারেল অফ মেডিকেল সার্ভিসেস- ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট মে. জে. প্রফেসর ড. মো. আজিজুল ইসলাম, ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মে. জে. মো. ইউসুফ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহাপরিচালক ব্রি. জে. মো. নাজমুল হক ও দেশের বরেণ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নোভারটিস বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রেসিডেন্ট ডা. রিয়াদ মামুন প্রধানী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর শরীফ আখতারুজ্জামান এবং নোভারটিস ফার্মাসিউটিকাল সুইজারল্যান্ডের সিনিয়র গ্লোবাল মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর ড. প্যাট্রিসিয়া পারটেল।

অনুষ্ঠানে নোভারটিস বাংলাদেশের কান্টি প্রেসিডেন্ট ডা. রিয়াদ মামুন প্রধানী বলেন, বায়োলজিক মেডিসিনগুলো নির্দিষ্ট রোগের সমাধানের লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়ে থাকে। বায়োলজিক মেডিসিনই আগামীদিনে বহুল ব্যবহৃত হবে। এর চিকিৎসা প্রক্রিয়া ও উপকারিতা নিয়ে চিকিৎসক ও রোগীদের আরও সচেতনতা প্রয়োজন। বায়োলজিক দীর্ঘমেয়াদি ফলপ্রসূ চিকিৎসা তবে আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের বিভিন্ন অংশীজনরা এগিয়ে আসলে আমাদের দেশে আরও বিস্তৃত পরিসরে এ চিকিৎসাপদ্ধতি প্রয়োগ করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।

১৯ শতক থেকে বায়োলজিকের ব্যবহার শুরু হয়, যার ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রোগের লাখ লাখ রোগীর সেবাপ্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশে ২০০০ সালের গোড়ার দিকে বায়োলজিকের প্রথম ব্যবহার শুরু হয়। গত ২ দশকে চিকিৎসা জগতের আমুল পরিবর্তন হয়েছে। কেমিক্যাল কম্পাউন্ড থেকে যথাক্রমে বায়োলজিক্স, কোষ ও জিন থেরাপিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। বায়োলজিক্স ব্যবহারের ভবিষ্যত সম্ভাবনা যথেষ্ট উজ্জ্বল। সারা বিশ্বের চিকিৎসকরা বায়োলজিক্সের ব্যবহার বেছে নিয়েছে যার ফলশ্রুতিতে রোগীরা নানাবিধ সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে বাংলাদেশে বায়োলজিকের ব্যবহার এখনও সীমিত। রোগীদের আরও টার্গেটেড ও কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে ভবিষ্যতে আরও অনেক বায়োলজিক আসছে। এর যথার্থ ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের দ্রুত প্রস্তুতি গ্রহণ প্রয়োজন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বায়োলজিক সামিট অনুষ্ঠিত হয়। বায়োলজিক ওষুধগুলোকে আরও ভালোভাবে বোঝা, চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা এবং বাংলাদেশকে আগামী দিনে বায়োলজিক ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করে তোলাই এ আয়োজনের লক্ষ্য।

আর এরই ফলস্বরূপ দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও নীতি নির্ধারকরা এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন, যাতে করে তাদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শের আলোকে দেশ বায়োলজিক ব্যবহারে প্রস্তুত হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30