৮ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

বিদেশের শক্তিশালী ৬ ট্যাংক, রণক্ষেত্র সাজিয়ে শত্রুর বিপক্ষে ছায়াযুদ্ধ

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ১৭, ২০২২
বিদেশের শক্তিশালী ৬ ট্যাংক, রণক্ষেত্র সাজিয়ে শত্রুর বিপক্ষে ছায়াযুদ্ধ

 

নিউজ ডেস্ক: বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা ৬টি অত্যাধুনিক শক্তিশালী ট্যাংকের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারীর চারিয়া এলাকায় সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে শক্তিশালী ট্যাংক থেকে একের পর এক গোলা ছোড়েন গানাররা। ছায়া শত্রুর অবস্থান হিসেবে চিহ্নিত নির্জন পাহাড়ের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে পড়ছে এসব গোলা। কখনো একটি ট্যাংক, আবার কখনো সমান্তরালভাবে রাখা ছয়টি ট্যাংক থেকেই একযোগে গোলা ছোড়া হয়। এভাবে রণক্ষেত্র সাজিয়ে শত্রুর বিপক্ষে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রামের ফায়ারিং রেঞ্জে গিয়ে সেগুলোর সক্ষমতা পরীক্ষা করেন।

জানা গেছে, সরকারের ২০৩০ সালের মধ্যে ফোর্সেস গোল অর্জনের পাশাপাশি বাহিনীগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে এসব ট্যাংক।

ধুলা উড়িয়ে পাহাড়ি এবং জঙ্গলাকীর্ণ পথে শত্রুপক্ষের দিকে দুর্বারগতিতে এগিয়ে চলছে ট্যাংকগুলো। ট্যাংকের গোলা ছুড়ে যেমন দূরবর্তী ছায়া শত্রুকে ঘায়েল করা হয়। আবার ট্যাংকের কাছাকাছি চলে আসা শত্রুপক্ষকে পরাস্ত করতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ছোড়া হয় মেশিনগানের গুলি। কাছে কিংবা দূরের, কোনো শত্রুই পরিত্রাণ পাবে না এ ট্যাংকের বহর থেকে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য সাম্প্রতিক সময়ে সংগ্রহ করা হয়েছে ছয়টি অত্যাধুনিক ট্যাংক। আর গত কয়েকদিন ধরে এগুলোর পরীক্ষা চলছে চট্টগ্রামের ফায়ারিং রেঞ্জে।

অত্যাধুনিক এসব ট্যাংকের কার্যকারিতা দেখতে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ চলে আসেন ফায়ারিং রেঞ্জে। প্রথমে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে দূর থেকে দেখছিলেন ট্যাংকের আগ্রাসী অগ্রগতি। একপর্যায়ে নিজেই উঠে বসেন ট্যাংকের আসনে। ফায়ারিং রেঞ্জ ঘুরে দেখেন বাহিনীর জন্য আনা ট্যাংকের পরীক্ষার সফলতা।

ট্যাংক থেকে নেমেই সেনাপ্রধান উৎসাহমূলক বক্তব্য দিয়ে উজ্জীবিত করেন তাদের। এমনকি নিজেই দিয়েছেন হর্ষধ্বনি।

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ২০৩০ সালের মধ্যে ফোর্সেস গোল অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এরই অংশ হিসাবে বাহিনীগুলোর জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র। চলতি সপ্তাহেই সেনাপ্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর বহরে অত্যাধুনিক শোরাড মিসাইলের পাশাপাশি আকাশ প্রতিরক্ষা রকেট সংযোজন করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সেনাপ্রধান ফরমান তুলে দেয়ার পাশাপাশি বেলুন উড়িয়ে সেনাবাহিনীর বহরে অত্যাধুনিক শোরাড মিসাইল এবং আকাশ প্রতিরক্ষার রকেট যুক্ত করার ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বহরে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয় আকাশ প্রতিরক্ষা রকেটের পাশাপাশি অত্যাধুনিক শোরাড মিসাইল। আধুনিক এসব সমরাস্ত্র বাহিনীতে সংযোজন এবং রেজিমেন্টের পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশমাতৃকার সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগে অঙ্গীকারবদ্ধ।

এ সময় তিনি দুটি রেজিমেন্টের পতাকাও উত্তোলন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাহিনীর সক্ষমতা অর্জনে বর্তমান সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সেনাপ্রধান।

তিনি বলেন, ৪৪ শোরাড মিসাইল রেজিমেন্ট আর্টিলারি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। আধুনিক এফএন ৯০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইলের সমন্বয়ে গঠিত ৪৪ শোরাড মিসাইল রেজিমেন্ট আর্টিলারি নিঃসন্দেহে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহকে দুর্ভেদ্য আকাশ প্রতিরক্ষা প্রদানে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।

Please Share This Post in Your Social Media
June 2023
T W T F S S M
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930