নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে দেড়লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপে ফেলে ঘরে আটকে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরবন্দি ওই নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ অবস্থায় স্বামী তালাকের জন্য ভয়ভীতি ও মিথ্যা অপবাদ ছড়ানোয় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
আইনী সহায়তা চেয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরবার গত বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলার ডুবাতেঘর এলাকার ফাতেমা খাতুন। অভিযুক্ত মোসাদিক বিল্লাহ একই উপজেলার আমড়াগোহাইল গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
গতকাল শনিবার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুলতানা আকতার বানু বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নোটিশ করে দুইপক্ষকে ডাকা হবে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ওই নারীর বাবা আফছার আলী মারা গেছেন। মোসাদিক বিল্লাহর সঙ্গে গত জুন মাসে ফাতেমার ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক বিয়ে হয়। এরপর থেকেই স্বামী, শ^শুর ও শাশুড়ি অহেতুক কারণে ফাতেমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে দেড়লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। বাবা মারা যাওয়ায় যৌতুকের টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। গত ৭ ডিসেম্বর স্ত্রীকে ঘরবন্দি রেখে নির্যাতন করে স্বামী মোসাদিক। ফাতেমা গুরুতর অসুস্থ হলে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানার পর চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ওই বাড়িতে গেলে বাধার সৃষ্টি হয়। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় ফাতেমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিজরুল ভর্র্তি করে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করেও সুবিচার পায়নি ভূক্তভোগী ফাতেমা। সে গত দুইমাস ধরে পিতার বাড়িতে অবস্থান করছে। সুষ্ঠু বিচারের আশায় দ্বারেদ্বারে ঘুরছে ওই নারী।