৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

যমুনার ভাঙনে বাড়িঘর বিলীন, হুমকিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

অভিযোগ
প্রকাশিত মে ৬, ২০২৩
যমুনার ভাঙনে বাড়িঘর বিলীন, হুমকিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। মৌসুমের আগেই এ ভাঙনে দিশেহারা নদীতীরের মানুষ। সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব অসংখ্য পরিবার।

উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়ন ভাঙনে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে। চৈত্র-বৈশাখের শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙনের তীব্রতা মারাত্মক। গ্রাস করতে করতে নদী এসে ঠেকেছে বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে দুই-একদিনেই স্কুলটি তলিয়ে যাবে নদীগর্ভে।

এছাড়াও নদী এই মৌসুমে গ্রাস করেছে রাস্তা, কালভার্ট, ঘর-বাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। প্রতিশ্রুতি দিয়েও এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। এলাকাবাসীর দাবি, ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী গাইড বাঁধ নির্মাণ। আর ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দু’ সপ্তাহের ভাঙনে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকের ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আরজু মিয়া বলেন, “গত বছর ভাঙনের কবলে পড়ে বাড়িঘর সরিয়ে এনেছিলাম। এবারও নদীর করাল গ্রাসে পড়েছি। আমাদের বাড়ির কিছু অংশ এরই মধ্যে নদীতে চলে গেছে। বাকিটুকু অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছি।”

বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, “ভাঙন এতোটাই প্রকট যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আমাদের বিদ্যালয়টি পুরোপুরি নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এমনটি হলে শিশুদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই স্কুলটি রক্ষায় নদীভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।”

ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শাকিল বলেন, “ভাঙনের কবল থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হবে।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “নদী ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media
September 2023
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930