২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বরুড়া পৌরসভায় জন্ম নিবন্ধন যেন গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে, নেই প্রতিকার আর কত ভোগান্তি

অভিযোগ
প্রকাশিত আগস্ট ৩০, ২০২২
বরুড়া পৌরসভায় জন্ম নিবন্ধন যেন গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে, নেই প্রতিকার আর কত ভোগান্তি

কুমিল্লার বরুড়া পৌরসভা কার্যালয়ে জন্ম নিবন্ধন শাখায় সাধারন নাগরিকের ভোগান্তির শেষ নেই, জন্ম নিবন্ধন করতে ২/৩ মাসে ও হচ্ছে না, এই দিকে স্হানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের নিয়মনীতি মানছে না পৌর কর্তৃপক্ষ, জন্ম নিবন্ধন প্রতি ১৬০ টাকা করে নিচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বরুড়া পৌরসভার কার্যালয়ের জন্ম নিবন্ধন শাখায় নারী ও পুরুষের দীর্ঘ লাইন, অনেকে ১/২ ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পরেও কোন সাড়া পায় না কর্মকর্তাদের, সাধারন নাগরিক থেকে জন্ম নিবন্ধন নতুন তৈরি, সংশোধন সকল কাজে ১৬০ টাকা ফি নিচ্ছে সময় দিচ্ছে ২/৩ মাস,অথচ সরকারি গেজেটে জন্ম নিবন্ধন ৫০ টাকা,ইংরেজি ৫০ টাকা,সংশোধন ফি ১০০ টাকা দিতে সরকার নির্ধারন করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে ঘোষনা দিয়েছিলেন জন্ম নিবন্ধনে সরকার নির্ধারিত ফি ব্যতিত কোন প্রকার টাকা নেওয়া যাবে না, জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।কোথায় সরকারের এই ঘোষনা, এই ঘোষনা, গেজেট কে তুচ্ছ করল বরুড়া পৌর কর্তৃপক্ষ।

এই দিকে বরুড়া পৌরসভা কার্যালয়ে জন্ম নিবন্ধন শাখায় কাজে ধীরগতি সহ নানা সমস্যার কথা চোখে পড়েছে, জন্ম নিবন্ধন করতে ২থেকে ৩ মাস সময় লাগছে পৌরসভায়, এতে করে হয়রানি সহ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নাগরিকরা।পৌর এলাকার একজন নাগরিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরুড়া পৌরসভা কার্যালয়ে যান জন্ম নিবন্ধন বাংলা আছে, কিন্তু ইংরেজিতে করার জন্য জন্ম নিবন্ধন শাখায় যান তখন ঐ শাখার কর্মচারীরা বলে আজকে হবে না বুধবার আসেন, পরে আগামীকাল গেল কাগজ পত্র জমা দিল ,দেওয়ার পর বলে ৩ টা জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করতে ১৬০ টাকা করে ৪৮০ টাকা দিল,পরে কর্মচারী বলে ১ মাস ১০ দিন পর এসে খোঁজ নিবেন।পরে ১মাস ১৫ দিন পর গেলে বলে সার্ভার কাজ করে কাজ হয়নি, বুধবার আসেন,আবারো বুধবার গেলে এখনো হয়নি রবিবার আসেন এভাবে চলছে অবস্থা, হচ্ছে না জন্ম নিবন্ধন কর্মচারীদের কাছে সাধারণ জনগন গোলাম হতে হয়, অথচ জনগনের টাকায় ঐ কর্মচারী মাসে বেতন পায়, পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন শাখায় ভোগান্তির শেষ নেই।

এই বিষয়ে একজন ভুক্তভোগী জানান আমি কোরবানির ঈদের পরে অফিস খোলার ২য় দিন জন্ম নিবন্ধন বাংলা থেকে ইংরেজি করতে সব কিছু জমা দেই,আমাকে বলছে ১৫ দিন পর আসতে,অথবা কাজ শেষ হলে মেসেজ যাবে, কিন্তু ঈদের পর ৩ মাসেও মেসেজ যায় নি,কাজ ও হয়নি।অফিসে যোগাযোগ করলে কর্মকর্তারা বলে সার্ভার ডাউন কাজ হয়নি,আজ আসেন, কাল আসেন এভাবে চলছে, আমি কয় মাসে জন্ম নিবন্ধনের কাজ শেষ করতে পারব বলতে পারছি না,এই পর্যন্ত ১৫ দিন পৌরসভায় এসেছি, কোন কাজ হচ্ছে না, কিন্তু আগের সাবেক মেয়র জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী থাকাকালীন সময়ে ১ সপ্তাহে জন্ম নিবন্ধন কাজ হয়ে যেত,এত সমস্যা হতো না,বর্তমান মেয়র এর সময়ে এসে যত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে,এই সমস্যা থেকে প্রতিকার চায় পৌরবাসী।

আবার অনেক কর্মচারী অনেক তুচ্ছ ভাষা ব্যবহার করে একটা মানুষকে সামান্য পয়াসার দাম দেয় না পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন শাখার কর্মচারীরা। এই বিষয় গুলো বরুড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ বক্তার হোসেন বখতিয়ার মহোদয় তদারকি করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে পৌরবাসী।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30