৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিক তৈমুর উপর হামলা।

Weekly Abhijug
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিক তৈমুর উপর হামলা।

স্টাফ রিপোর্টার:

মাগুরায় হত্যা করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকতৈমুর উপর উপর অমানুষিক নির্যাতন

পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক এ,বি,এম,তৈমুর আলী গত ০২/০৮/২০২৩ ইং তারিখে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানাধীন গোপীনাথপুর বাজারস্থ ফজলুর চায়ের দোকানে চা পান করাকালীন সময়ে মফিদুল ইসলাম(৪৫),গ্রাম-মৌলী এর নেতৃত্বে সুজন হোসেন(৩২),গ্রাম-মৌলী এবং শামীম(৩০),গ্রাম-মৌলী,লোহার রড ও বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া সাংবাদিককে ঘিরিয়া ধরে। মফিদুল ইসলাম(৪৫) হুকুম দিয়া বলে যে,শালাকে জানে মারিয়া ফেল।হুকুম পাওয়া মাত্রই সুজন হোসেন তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যা করার অসৎ উদ্দেশ্যে সাংবাদিকের মাথা বরাবর বাড়ি মারিলে মাথা টান দিলে উক্ত বাড়ি বাম কর্ণের উপর লাগিয়া কর্ণের পর্দা ফাটিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।উক্ত আঘাতের কারণে তাহার কর্ণে প্রচন্ড যন্ত্রণা হয় এবং শ্রবণ শক্তি নষ্ট হইয়া যায়। শামীম তাহার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি এবং হাঁতুড়ি দিয়া সাংবাদিকের বাম পায়ের গিরা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলো পাতাড়িভাবে পিটাইয়া মারাত্মক নীলাফোলা জখম করে।ওই সময়ে সাংবাদিকের প্যান্টের পিছনের পকেট মানিব্যাগে থাকা ১৫ হাজার টাকা এবং একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন দুর্বৃত্তরা ছিনাইয়া নিয়া নেয়।এ,বি,এম, তৈমুর আলীর গলায় থাকা সাংবাদিকতার পরিচয় পত্র পর্যন্তও ছিনাইয়া নেয়।এলাকার লোকজনের সামনে মফিদুল ইসলাম,সুজন হোসেন এবং শামিম দুই হাতে অস্ত্র উঁচু করিয়া খুন জখমের হুমকি দিয়া বলে যে,উক্ত বিষয় লইয়া মামলা মোকদ্দমা করিলে তোকে জানে মারিয়া ফেলিবো এবং যাহারা সাক্ষী দিবে তাদের হাত পা কাটিয়া লইবো। সাক্ষীরা ঘটনাস্থল হতে সাংবাদিক এ,বি,এম, তৈমুর আলীকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করান।তাহার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পথ চালিত অটো ভ্যানযোগে দ্রুত মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আনিয়া ভর্তি করিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। হসপিটালে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে তিনি গত ১৭ই আগস্ট ২০২৩ ইং মাগুরা জজ কোর্টে ৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬(২)/১১৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।দুইজন আসামি মফিদুল ইসলাম(৪৫)এবং শামীম(৩০) জামিন নিলেও ৩২৬ ধারা মামলার প্রধান আসামী সুজন হোসেন(৩২) পলাতক রয়েছেন।

সূত্র:মোহাম্মদপুর থানার মামলা নং ১৫ তাং ২১/০৮/২০২৩ ইং ধারা ৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬(২)/১১৪।

Please Share This Post in Your Social Media
September 2024
T W T F S S M
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930