চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও এলাকায় অপহরণের ৫ দিন পর এক শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার করেছে চান্দগাঁও থানার পুলিশ। অপহরণকারীরা ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা ও মৃতদেহ গুম করে।
৩ মে ২০২৩ বুধবার বিকেলে নগরীর হালিশহর থানার পানির কল ও পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহরা গোলাপের দোকান এলাকার চাঁন মিয়া ফকির বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. আজম খান (৩২) এবং পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট হামজা আউলিয়া মসজিদ সংলগ্ন চান্দ মিয়া সওদাগর বাড়ির মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে মো. মজিব দৌলা ওরফে হৃদয় (২৮)।
গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহরা গোলাপের দোকান সংলগ্ন তৌসিফের সেমিপাকা নির্মাণাধীন কলোনি থেকে শিশু মো. শফিউল ইসলাম রহিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।জানা যায় গত ২৯ এপ্রিল বিকেল সোয়া তিনটার দিকে পশ্চিম মোহরা চাঁন মিয়া ফকির বাড়ির মো. সেলিম উদ্দিনের ১১ বছর বয়সী ছেলে মো. শফিউল ইসলাম রহিমকে অপহরণ করা হয়। এরপর ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। তবে টাকা না পেয়ে শিশু রহিমকে হত্যা করে মৃতদেহ গুম করে ফেলেন তারা।এদিকে, রহিমকে খুঁজে না পেয়ে ২৯ এপ্রিল চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ভিকটিমের বাবা সেলিম উদ্দিন। তার সূত্র ধরে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে আসামিদের শনাক্ত করে। পরে ৩ মে অভিযান চালিয়ে হালিশহর এলাকার পানির কল এলাকা থেকে আজম খানকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হৃদয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য মতে বুধবার রাতে রহিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম জাতীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা অভিযোগ কে বলেন, ভিকটিমের পিতার সাধারণ ডায়েরি পাওয়ার পর পুলিশ গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি নেয়। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় মূল আসামি আজম খানকে শনাক্ত করা হয়। বুধবার আজম খানকে গ্রেফতারের পর পুরো ঘটনা তিনি স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সহযোগী আরেক আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে ৪মে বৃহস্পতিবার অপহরণ ও হত্যার অপরাধে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।যেখানে ৩৬৫/৩৮৫/৩০২/২০১/৩৪ ধারা পনেল কোড রুজু করা হয়। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানান ওসি খাইরুল ইসলাম।তিনি আরো বলেন শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।