Sharing is caring!
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসসালামু আলাইকুম!
সমীপেষু,
পত্রের শুরুতে ভাটি বাংলার অজোপাড়া গাঁয়ের কপাল পোড়া, হতভাগা ভাঁটি বাংলার গ্রাম-গঞ্জের অগনিত মানুষের পক্ষ হইতে আমি অধম নির্যাতিত নাখান্দা ভাগ্য বঞ্চিত গোনাহগার চাচার খোলা চিঠি পাঠের শুরুতেই আমার সালাম গ্রহণ করিবেন। আশা করি দ্বীন দুনিয়ার মালিক পরওয়ার দিদারের দয়ায় এক প্রকার ছহি-ছালামতে আছেন। আমরাও ৩৬০ আউলিয়ার দোয়ায় ও শাহ-সুফি বাবার নজর ক্রমে নানা কিছিমের জান্দানীর মধ্যেও কোন রকম জানে প্রানে বেঁচে আছি। কি আর করিবো, খালি চোখে আগেকার মতো এখন আর সবকিছু ঠিকঠাকমতো দেখিতে পারিনা তারপরও প্রবাদ রহিয়াছে, ঢেকি নাকি স্বর্গে গিয়াও ধান বানে। কারণ নিজেকে বর্ণচুরা বানাইয়া ঘরের কোনে লুকাইয়া রাখা নিতান্তই কষ্ঠের বিষয়। তাই প্রতি সপ্তাহের মতো এবারও দরকারী কয়েকটি কথাবার্তা লইয়া হালতির হালখাতা খুলিয়া বসিয়াছি। আশা করি মা জননী আগেকার মতো চাচার চিঠি খানা গুরুত্বর সহিত পড়িয়া এই অধমকে ধন্য করিবেন।
জননী গো, সুনামগঞ্জের তুহিন হত্যাকারীসহ সকল হত্যাকারীদের বিচার চাই, আপনার কাছে এটাই আবেদন
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের আব্দুল বাছিরের ছেলে (০৫) শিশু তুহিন আহমদ হত্যার বিচার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তুলপার চলিতেছে। তাছাড়া প্রতিদিন অনলাইন খোললেই দেখা যায় খুন আর ঘুম। এসব দেখতে দেখতে জননী গো আপনার কাছে আমার এই খোলা চিটি ।
জননী গো, আপনার কাছে আমার আবেদন আমাদের দেশে প্রতিদিন বাজারে, হাটে, ঘাঠে, খেলার মাঠে, শহরে, বন্ধরে, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিন দুপুরে, রাতের আধারে, শিশু তুহিনের মত কত তুহিনের হত্যার খবর পাওয়া যায়। আবার শোনা যায় হত্যা কান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে কাউকে না কাউকে সন্দেহ জনক আটক করেছে পুলিশ।
তবে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের খুজে বের করে গ্রেফতার করতে জানিনা কোন কারনে ব্যার্ত হচ্ছে পুলিশ। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে মনে করি পুলিশ সাধারন জনগনের বন্ধু, আবার পুলিশ সাধারন জনগনের শত্রু বটে। কোনো হত্যা কান্ডের জন্য নিজ নিজ উপজেলার টাকা ওয়ালা প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ব্যাক্তিদের ভয়ে মুখ খুলতে ইচ্ছুক নয় কিছু পুলিশ।
জনগনের বন্ধু হয়ে যে উপজেলা কর্মকর্তারা কাজ করেন উনাদের লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। কয়েক দিন পরে শোনা যায় লাঞ্চিত হওয়া কর্মকর্তা পদন্নোতি হয়ে ওই উপজেলা থেকে বদলী হয়েছেন।
জননী গো, আপনার কাছে আমার আবেদন দয়া করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নিসিদ্ধ ঘোষনা করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখা পড়া করবে, সবাই একে অন্যের সহপাটি এখানে কিসের জন্য ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের কর্মী হয়ে মারামারি করবে।
জননী গো, সারা দেশের প্রতিটি জেলায় কম পক্ষে একজন প্রকৃত খুনীকে হত্যার বদলে হত্যা নির্দেশ দেয়া হলে আমি মনে করি হয়তোবা খুনের সংখ্যা কমতে পারে। আর জনগনের বন্ধু পুলিশ কে যারা লাঞ্চিত করে তাদের কে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হলে পুলিশ কে লাঞ্চিত করা বন্ধ হবে। এতে সাধারন জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করতে পারবে পুলিশ। নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে সকল জেলা উপজেলার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে এবং গ্রাম আদালত গঠন করতে হবে। সকল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান কে দলীয় পদ-পদবী থেকে বাতিল দিয়ে নিরপক্ষ দৃষ্টিতে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে পারিবারিক বিরুদ্ধ নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ করেন। আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।
ইতি
আপনার স্নেহ ধন্য অজোপাড়া গায়ের ফকির চাচা।