২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মাদক ও অস্ত্র মামলায় সম্রাট ১০ দিনের রিমান্ডে

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ১৫, ২০১৯
মাদক ও অস্ত্র মামলায় সম্রাট ১০ দিনের রিমান্ডে

Sharing is caring!

মনজুরুল ইসলাম :- রাজধানীর রমনা থানার মাদক ও অস্ত্র আইনে দায়ের করা দুই মামলায় যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

একই সঙ্গে মাদক মামলায় যুবলীগের এই শাখার বহিষ্কৃত সহ-সভাপ‌তি এনামুল হক আরমানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যা‌জি‌স্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সকাল পৌনে ১১টার দিকে সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ৯ অ‌ক্টোবর সম্রা‌টের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থ হয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই রিমান্ড শুনা‌নির জন্য সে‌দিন আদালত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দিন ধার্য ক‌রেন।

এদিকে ওই‌দিনে এনামুলক হক আরমানকেও মাদক মালায় গ্রেফতার দেখা‌নো হয়ে‌ছে। তাকেও মঙ্গলবার কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।


আদালতের বাইরে নানা স্লোগান দিচ্ছেন সম্রাট সমর্থকরা- ছবি: অভিযোগ

এর আগে গত ৭ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও মাদক মামলায় আসামি করা হয়েছে।

ওইদিনই সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আর মাদক মামলায় আরমা‌নের ১০ দি‌নের রিমান্ড আ‌বেদন করা হয়।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) এ দুই মামলার তদন্তের ভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।

গত ৫ অক্টোবর গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পরদিন তাদের নিয়ে রাজধানীতে নিজ নিজ বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব।

এছাড়া মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে আটকের সময়ই আরমানকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

এরপর সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর আরমানের জায়গা হয় কুমিল্লা কারাগারে।