Sharing is caring!
সুমন আহমদ, সিলেট জেলা প্রতিনিধি ::
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে প্রকাশ্যে পুলিশের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না দিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনে গত শনিবার আদালত বন্ধ থাকায় বিশেষ আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আসামিদের ৫৪ ধারায় চালান দেয়া মানে আদালতে উপস্থিত হয়ে অল্প জরিমানা প্রদান করেই জামিন!
এ ঘটনায় যথাযথ মামলা না হওয়ায় পুলিশের উপর সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদেরও ক্ষোভ বাড়ে। সিলেট ভয়েস সহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশ করা হয় সংবাদ। এ সকল সংবাদ প্রকাশের পর এবার টনক নড়েছে এসএমপি’র।
গতকাল সোমবার ওই ঘটনায় হামলাকারী দুই ছাত্রলীগ কর্মী ইমন ও রাজের নামোল্লেখ করে আরো ২ জনকে অজ্ঞাত রেখে পুলিশ সদস্য শামিমুল ইসলাম থানায় মামলা দায়ের করেছেন (মামলা-০৪/২৩০, তারিখ-০৩ জুন)। এবার ধারা পরিবর্তন করে মামলা হয়েছে। ধারা দেয়া হয়েছে-১৮৬/৩৩২/৩৫৩/৩৪ দ:বি:।
জানা গেছে, সোমবার আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হওয়ার সাথে সাথেই পুলিশের মামলায় দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলার মুছিরগাঁও গ্রামের আলমাছ আলীর ছেলে মো. ইমন ও কানাইঘাটের দুর্লভপুর গ্রামের (বর্তমানে ৯৭ সওদাগর টিলা) মুস্তাকিম আলীর ছেলে মো. রাজ মিয়া।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে এসএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা বলেন, ওইদিনের মারধরে আহত পুলিশ কনস্টেবল শামিমুল ইসলাম মামলা দায়ের করেছেন।
ওইদিনের ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) সুদীপ রায়ের গাড়ি নিয়ে চালক জিন্দাবাজারে আটকা পড়েন। এ সময় পেছন থেকে মোটরসাইকেল আরোহী কয়েকজন যুবক পুলিশের গাড়ির চালক মানব দাসকে সাইড না দেয়ার কারণ জানতে চান। তখন চালক মানব বলেন, ‘সামনে জ্যাম, কীভাবে সাইড দেব?’
এতে উত্তেজিত হয়ে যুবকরা মানবকে মারধর করে। এ সময় পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) মো. শামীমুল ইসলাম গাড়ি থেকে নামলে যুবকরা বলে, ‘তোরা পুলিশ, তে মাইর খা।’ এ কথা বলে তারা দু’জনকেই মারধর করে।
পরে স্থানীয় লোকজন হামলাকারী দুই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এছাড়া যুবকদের ব্যবহৃত আর-ওয়ান ৫ ও ইয়ামা এফজেড এসবি-২ মডেলের মোটরসাইকেল দুটি জব্দ করে পুলিশ।