Sharing is caring!
উনুয়ই মার্মা রুহি, বান্দরবান প্রতিনিধি ;
পার্বত্য বান্দরবানের লামা উপজেলা মাতামুহুরি নদীতে শত শত
মানুষের মিলনমেলার মধ্যদিয়ে প্রতিমা বির্সজন শেষ হলো, সনাতন ধর্মীয় (হিন্দু) সম্প্রদায়ের বৃহৎ ও প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। এই পূজাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে ৫ দিন ব্যাপি চলেছিল নানা রকম কর্মযজ্ঞ।
মঙ্গলবার (৮অক্টোবর) দুপুর থেকে বিজয়া দশমীতে দেবী মা, দূর্গাকে নিয়ে পথে ঢাক-ডোল, বাদ্য বাজনার তালে তালে এবং রং চিটিয়ে বিদায় জানাতে দুপুর থেকেই লামা বাজারস্হ মাতামুহুরি নদীর পাড়ে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়। শ্রদ্ধা ভালবাসায় মাতৃবিদায়ের বিষাদপূর্ণ অশ্রু অঞ্জলির মাধ্যমে নদীর জলে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানায় পূজার্থীরা।
বিসর্জন উপলক্ষ্যে নদীর পাড়ে খোলা মঞ্চে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুস্টানে প্রধান অথিতি ছিলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিবার্হী ম্যজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান, বিশেষ অথিতি ছিলেন লামা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মোহাম্মদ আমিনুল হক, লামা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কী রাণী দাশ, লামা হরিমন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রশান্ত ভট্রচার্য্য, সাধারন সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, লামা কেন্দ্রীয় দূর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবুল দাশ, সাধারণ সম্পাদক বিজয় আইচ্, অর্থ সম্পাদক গোপন চৌধুরী ও লামা উপজেলা’র বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ আগত বক্তবৃন্দ এবং লামা কেন্দ্রীয় দূর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে লামা উপজেলা ৮টি পূজা মন্ডপের পূজা অর্চনা করার সামগ্রী প্রদান করেন।
বাদ্যের তালে তালে পূর্জাথী আবাল-বৃদ্ধা-বণিতা প্রতিমা ও নিজেদের মাঝে রং ছিটিয়ে মা দূর্গাকে বিদায়ী আনন্দ দেয়ার কসরত করে।
লামা থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আমিনুল হক জানান, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সবার সহযোগিতার ও নিরাপত্তায় দূর্গাপূজা সম্পন্ন করতে পেরেছি আমরা। পুলিশের পাশাপাশি শৃংখলা বাহিনীর অন্য বিভাগের সদস্য এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দরা উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা সম্পন্নে অবদান রাখেন। সকল ধর্মের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় একিভূত হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছিলো।