Sharing is caring!
মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম :: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪ তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে ফিলিস্তিন, কাশ্মীর ও সিরিয়াসহ মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য সমস্যাগুলো বিশ্ব নেতাদের সামনে তুলে ধরেছেন মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান।
বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সুরক্ষার জন্য হুমকিসরূপ বেশ কয়েকটি সমস্যার কথা তুলে ধরে এরদোগান বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো ক্ষুধা, দুর্দশা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদির চ্যালেঞ্জগুলির স্থায়ী সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে, এছাড়াও সঙ্কট মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বিশ্ব শক্তিগুলি আজ সমালোচিত।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪ তম অধিবেশনে তিনি ভাষণ প্রদান করেন।
সিরিয়ায় একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবিত পরিকল্পনাকে সমর্থন করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এরদোগান বলেন, বিশ্ব আজ ভূলে গিয়েছে সেই সিরীয় শরণার্থী শিশু আইলানকে যার পানিতে ভেসে থাকার করুন দশা ঘটেছিল।
সিরিয়ার ইদলিবের সুরক্ষার জন্য তুরস্কের প্রচেষ্টা সমর্থন করার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
এরদোগান আরও বলেন, সিরিয়ার রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক ঐক্যের জন্য সাংবিধানিক কমিটির দক্ষ কার্যকারিতার ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, উত্তর সিরিয়ায় পিকেকে, ওয়াইপিজি সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এর ছদ্মবেশে কাজ করছে এবং এই অঞ্চলের সুরক্ষার জন্য অবশ্যই তাদের মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি তুরস্কের অবস্থানকে “সর্বাধিক উদার দেশ” হিসাবে তুলে ধরে বলেন, ৫ মিলিয়ন বাস্তুচ্যুতদের সংঘাত, অনাহার, নিপীড়ন থেকে মুক্ত করেছে তুরস্ক।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে তুরস্ক ৩২০০০ অভিবাসীকে সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছিল এবং সিরিয়াসহ অন্যান্য ৫৮,০০০ জনকে প্রত্যাবাসিত করেছিল।
হিংস্র আসাদ সরকারের কারণে ২০১১ এর প্রথম থেকেই সিরিয়া এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের কবলে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে এতে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এবং আরও এক কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত আগস্টে- বাস্তুচ্যুত সিরিয়ানরা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করতে চাইলে তাদের সুবিধার্থে একটি শান্তি করিডোর তৈরির বিষয়ে সম্মত হয়েছিল তুুর্কি ও মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
কাশ্মীর ইস্যুতে এরদোগান বলেন, কাশ্মীরি জনগণের সুরক্ষিত ভবিষ্যতের দিকে নজর দিয়ে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও ভারতের সংলাপের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে সমস্যা সমাধান করা জরুরি।
ইসরাইলের ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য আমেরিকার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে অবিলম্বে একটি স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দেন এরদোগান।
তিনি বিশ্ববাসীর শান্তি, সমৃদ্ধি, ন্যায়বিচার, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ভবিষ্যতের বার্তা দিয়ে বক্তব্য শেষ করেছেন।———–সূত্র : ডেইলি সাবাহ