Sharing is caring!
বিশেষ প্রতিনিধি :: আদালতে মনির আনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার আবু তাহেরের নেতৃত্ব গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ২৪ সেপ্টেম্বর সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ দিয়ে তাকে পূর্নাঙ্গ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ উপেক্ষা করে তাকে আদালতে নেওয়া হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ৩৪২ ধারায় আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার সময় কামরুন নাহার মনি নিজেকে নির্দোষ দাবী করে পিবিআই হেফাজতে তাকে চরম নির্যাতন ও পেটে লাথি মেরে বাচ্চা নষ্ট করার হুমকি দিয়ে জবানবন্দি আদায়ের অভিযোগ করেন।সে জানায়, যে মনি হুজুরের মুক্তির জন্য জন্য মিছিল মিটিং মানববন্ধন করেছে তাকে গ্রেফতার করেও ছেড়ে দেয় পিবিআই।
ওই সে কাতর কন্ঠে আদালত বলেছেন, স্যার আদালতে আসতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। তারপর বিচারক মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন পেয়েছি জানিয়ে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দেন।
ফেনী হাসপাতালে থাকা মনির মা নুরের নাহার জানান, সে অসুস্থ থাকলেও নবজাতক সুস্থ আছে। অসুস্থ অবস্থায় ডাক্তার তাকে রিলিজ করে দিয়েছেন কিছুক্ষনের মধ্যে মনিকে কারাগারে নিয়ে যাবে।
ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার আবু তাহের মুঠো ফোনে জানান, মা ও নবজাতক সুস্থ আছে। কারা কর্তৃপক্ষ চাইলে আজকে তাকে নিয়ে যেতে পারবে।
নুসরাত হত্যা মামলার বিচার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে চলতি সপ্তাহে রায়ের তারিখ ঘোষনার সম্ভবনা রয়েছে। এ মামলায় মনি দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জব্নবন্দি প্রদান করেন। পরে মামলার বিচার কাজ শুরু হলে আদালতে জবানন্দির বিরুদ্ধে ডিনাই পিটিশন দাখিল করেন। পিটিশনে পিবিআইর বিরুদ্ধে নির্যাতন করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ করেন।মামলার অভিযোগপত্র মাদ্রাসার সাইক্লোন সেস্টারের ছাদে যে পাঁচ আসামী নুসরাতকে আগুন লাগানোর অভিযোগ আনা হয়েছে মনি তাদের একজন।