রাজধানীর গুলশানের নাভানা টাওয়ারে স্পা অ্যান্ড হেলথ ক্লাবে পুলিশের একটি দল অভিযান চালাচ্ছে।
রোববার রাত ৯টার দিকে গুলশানের নাভানা টাওয়ারের ১৮, ১৯ ও ২০ তলায় অবস্থিত তিনটি স্পা সেন্টারে অভিযান শুরু করে গুলশান থানা পুলিশ।
স্পা সেন্টারগুলো হলো- লাইভ স্টাইল হেল্থ ক্লাব অ্যান্ড স্পা অ্যান্ড সেুলন, ম্যাঙ্গো স্পা ও রেডিডেন্স সেলুন-২ অ্যান্ড স্পা।
পুলিশের গুলশান জোনের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে সেখানে স্পার পাশাপাশি অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা হয়। এ অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
রাজধানীতে স্পার নামে অশ্লীলতা, অসামাজিক কার্যকলাপের এ রকম আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ফেসবুক পেজে স্পন্সর বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের প্রচারণা করে থাকে।
এর আগে এদিন দুপুরের পর থেকে মতিঝিলে ক্লাবপাড়ায় ৪টি ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ। ক্লাবগুলো হচ্ছে- মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ এবং দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব। এসব ক্লাব থেকে ক্যাসিনো মেশিন, জুয়ার বোর্ড, বিদেশি মদ, সিসা বারের সরঞ্জাম, নগদ টাকা ছাড়াও জুয়ার নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে তারা। তবে কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা যায়নি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের লোকজন ক্লাবগুলোর ক্যাসিনো ও জুয়ার বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে জানা গেছে।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন জানান, যখনই তাদের কাছে তথ্য এসেছে, তখনই তারা অভিযান চালিয়েছেন। এর আগেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী অবৈধ জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে বলে দাবি তার।
তিনি বলেন, ‘ক্লাবগুলোর অবৈধ খেলা বা জুয়ার অংশে অভিযান চালাচ্ছি আমরা। তবে মূল খেলা অর্থাৎ ফুটবল বা ক্রিকেটে যাতে এর প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টিও মাথায় রাখছি। স্পোর্টিং ক্লাবগুলোতে কারা ক্যাসিনো বসিয়েছিল, তাও তদন্ত করা হচ্ছে।