ওমর শাকিল,জেলা প্রতিনিধি(লক্ষ্মীপুর):: গত ২ সপ্তাহ থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারে ইলিশের
প্রচুর আমদানি লক্ষ্য করা গেছে। এসব
ইলিশের দাম এখনো না কমলেও প্রচুর
ইলিশে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা।
ইলিশের ঘাট এবং বাজারগুলো এখন ২৪
ঘন্টা মুখর হয়ে রয়েছে। ভিড় জমাচ্ছেন ভিবিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতারা। জেলার বিভিন্ন উপজেলার ঘাটে দৈনিক শত মণ ইলিশ মাছ
আসছে। অস্বস্তির কথা হচ্ছে বাজারে প্রচুর ইলিশ আসলেও এ বছর থেকে ইলিশ কিনতে এবং স্বাদ নিতে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।
ইলিশঘাট ঘুরে ব্যবসায়ী এবং মাছ
ক্রেতাদের মুখে শোনা গেল সে প্রতারণার
নানা কথা।
প্রতারণার বিষয়টি হচ্ছে, এ বছর
লক্ষ্মীপুরের ঘাটগুলোতে বেশির ভাগ ইলিশ আসছে হাতিয়া, সন্দীপ, ঢালচর, নিঝুমদ্বীপ, চরফ্যাশন ও ভোলা থেকে। ইলিশ বোঝাই নৌকা হাতিয়া ও তার
আশপাশের সমুদ্র এলাকা থেকে নদী পথে
লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার, রামগতি এবং
মতিরহাটে আসতে সময় লাগে সাড়ে ৩
থেকে ৪ ঘন্টা। এতে জেলে এবং ইলিশ
ব্যবসায়ীরা বেশি দামে পেলেও ক্রেতারা
দামে ও স্বাদে ঠকছেন।
ঘাটের ব্যবসায়ীরা জানান, সাগরের ইলিশ
ধরার কমপক্ষে ১৫-২০ দিন পর্যন্ত বরফ যুক্ত
হয়ে সাগরেই জেলে নৌকাতে থাকে এবং
তা নদীর ইলিশের তুলনায় কম স্বাদ ও
গন্ধের। অন্যদিকে মেঘনার ইলিশ টাটকা ও বেশি স্বাদ এবং গন্ধ যু্ক্ত। সে সুযোগে বিভিন্ন ঘাট এবং হাট-
বাজারে এক শ্রেনীর জেলে এবং মাছ ব্যবসায়ীরা সাগরের ইলিশ মেঘনার ইলিশ
নামে বিক্রি করে ক্রেতাদেরকে প্রতারিত করে অসাধু উপায়ে বানিজ্য করে যাচ্ছে। তারা দক্ষিন অঞ্চলীয় ও হাতিয়ার ইলিশকে মেঘনার ইলিশ বলে বিক্রি করছে।
সরোজমিনে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর
উপজেলার মতিরহাট মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নোঙর করা বেশির ভাগ নৌকাই হাতিয়ার। এরা হাতিয়া ও সন্দ্বিপের সাগর থেকে মাস ব্যাপী মাছ ধরে ৩০-৪০ কিমি দূরে এসে এ সকল নদী
ঘাটে বেশি দামে ইলিশ বিক্রি করছে।
দেখা গেছে এক একটি নৌকায় প্রচুর ইলিশ
নিয়ে আসলেও ক্রেতাদের বিশ্বাসের জন্য এক ঝুড়িঁ আধা ঝুঁড়ি করে বিক্রি করছে।
মতিরহাট এলাকার স্কুল শিক্ষক হাসান জানান, ইলিশের অন্যতম জেলা লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন ঘাট ও বাজারে এত দিন এক প্রকার ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন ২ প্রকারের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। যেটা
বেশিরভাগ ক্রেতাদের পক্ষে চেনা সম্ভব না।
ইলিশের দাম প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে
মতিরহাটে মাছ ক্রয়রত ঢাকার ব্যবসায়ী
মনির জানান, স্বাদ অত্যন্ত ভালো হওয়ার
কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনার ইলিশের
দামও বেশি। এক কেজি ওজনের মেঘনার
একটি ইলিশ কেজিতে ৮শ-৯শ টাকায় বিক্রি হয়। সেখানে হাতিয়ার সমুদ্রের ইলিশ প্রতি কেজি ৬শ-৭শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ৪-৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, হাতিয়ার সমুদ্রের সে ইলিশ প্রতি
কেজি ৩-৪শ।
আগামি অক্টোবর মাস থেকেই ২৪ দিনের
জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। লক্ষ্মীপুরের
রামগতি থেকে শুরু করে রায়পুরের চরবংশী পর্যন্ত ছোট-বড় প্রায় ২০টি মাছঘাটে জেলেরা মাছ বিক্রি করে। এর
মধ্যে কমলনগর উপজেলার মতিরহাট ঘাটটি সবচেয়ে প্রসিদ্ধ এবং বড়। এঘাটে দৈনিক কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ। প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯ ইমেইল: abhijug@gmail.com
Copyright © 2025 Weekly Abhijug. All rights reserved.