২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নগরী থেকে যাত্রীবেশে ছিনতাই চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
নগরী থেকে যাত্রীবেশে ছিনতাই চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

Sharing is caring!

 

ফকির হাসান :: সিলেট নগরী থেকে যাত্রীবেশে ছিনতাইকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নগরীর গোয়াবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল, সুনামগঞ্জের মোহাম্মদপুরের মো. আবদুল আজিজের ছেলে বাবুল মিয়া (২৭), কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার খয়েরপুর গ্রামের মো. মুছন মিয়ার ছেলে মো. আবদুল হক (২৯), বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ থানার পঞ্চগ্রাম এলাকার মো. সিদ্দিক শরীফের ছেলে মো. সুমন শরীফ (২৫) এবং সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরাইকান্দি গ্রামের মৃত মীর আহমদের ছেলে আসাদুজ্জামা সানি (২৫)।

জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বিজয়নগর থানার সাতগাঁও গ্রামের মৃত এনু মিয়ার ছেলে বাহারুল হক সুমন (২৪) বর্তমানে শাহপরাণ (রহ.) হল, বি-ব্লক- রুম নং- ২১৯ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বসবাস করছেন।

তিনি খাসদবীর পয়েন্ট হতে আম্বরখানা পয়েন্টে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি সিএনজি যোগে অজ্ঞাতানামা ৪ জন এবং সিএনজি ড্রাইভার সহ রওয়ানা করেন। পথিমধ্যে অজ্ঞাতনামা যাত্রীগণ চলন্ত সিএনজির মধ্যে তাকে একটি ধারালো চাকু প্রদর্শন করে মোবাইল ফোন এবং পকেটে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় সিএনজিতে তাদের সাথে সুমনের ধস্তাধস্তি হয়।

পরে নগরীর মজুমদারীস্থ আলী ভবন নামক বিল্ডিংয়ের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছা মাত্রই সিএনজি থামিয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সুমনকে লাথি মেরে সিএনজি হতে ফেলে দেয় এবং সিএনজি হতে নেমে প্রকাশ্য স্থানে আতংক সৃষ্টি করে তার পরিহিত প্যান্টের ডান পকেট হতে নগদ ৫শ’ ৮০ টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়।

পরে সিএনজি চালকের সহায়তায় সিএনজি যোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় সুমন তাৎক্ষণিক তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়া পিছন হতে উক্ত সিএনজি গাড়িটির ছবি তুলিয়া রাখে যাতে সিএনজির নাম্বার সিলেট-থ-১১-৯২০৪ স্পষ্ট বুঝা যায়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ((মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) জেদান আল মুসা বলেন, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত সিএনজি (যার নং সিলেট-থ-১১-৯২০৪) জব্দ করা হয়েছে। আর সিএনজি চালক বাবুল মিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাকীদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ছিনতাইয়ের স্বীকার ব্যক্তি এসে আসামীদের সনাক্ত করে এজাহার দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে সিলেটের বিমানবন্দর থানায় মামলা (মামলা নং-১৮/২৪৩, তাং-১৮/০৯/২০১৯) রেকর্ড করা হয়।