Sharing is caring!

দিনাজপুর প্রতিনিধি:- দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বেশ কিছু যন্ত্রাংশ টেন্ডার দিয়ে ক্রয় করেছে, যা সরকারি বিধিবদ্ধ নয়। এ ছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের ভর্তি-সংক্রান্ত সরকারি ফিসহ বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযানে প্রাথমিকভাবে এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
অভিযান পরিচালনার একপর্যায়ে এনফোর্সমেন্ট টিমের লিডার ইসমাইল হোসেন বলেন, দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মালপত্র ক্রয় ও ছাত্রছাত্রী ভর্তি-সংক্রান্ত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের শুরুতেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মাসুদ রানার কক্ষে যাই; কিন্তু তাঁকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টে যাই এবং সেখানে একটি মেকাট্রনিকস ইন্টিগ্রেশন ট্রেনিং যন্ত্র টেন্ডারের উল্লেখ আছে মেইড ইন চায়না, কিন্তু সেই যন্ত্রটি তাঁরা মেড ইন বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করেছেন। যন্ত্রটিও অচল।
এ ছাড়া ফ্যাব্রিকস ইনস্পেকশন মেশিন কেনার কথা উল্লেখ রয়েছে মেড ইন ইন্ডিয়া এবং এই যন্ত্রটির কোনো উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বা এই যন্ত্রটি কেনার কোনো উপযুক্ত প্রমাণ তাঁরা দেখাতে পারেননি। ডিজিটাল ইন্টারটেকি বোর্ডে যন্ত্রটি চারটি কেনার কথা ৩২ লাখ টাকা দিয়ে। এ যন্ত্রগুলোর টেন্ডার-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এখানেও অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে।
সহকারী পরিচালক আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রায় ৩ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। কিছু বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।