দুমকি উপজেলা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:- পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায়, যুবদল নেতার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি অবৈধ দখলদার চক্রের বিরুদ্ধে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠেছে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে থানা সড়কস্থ ৭/৮টি দোকান ও বাসাবাড়ি জোরপূর্বক দখল করার হুমকীও দেয়া হয়। ভীত সন্ত্রস্ত দোকান মালিক জাকিয়া বেগম টিয়া তার দোকান পাট ও তার বাসাবাড়ি, দোকান, জমি রক্ষায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেছেন। অবশ্য চাঁদা দাবির উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই যুবদলনেতা।
উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনৈক জলিশা, সিরামপুর, নিবাসী আবদুস ছোবাহন হাওলাদারের স্ত্রী জাকিয়া বেগম অভিযোগ করেন, উপজেলার জাতীয়তাবাদি যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো: জাকির হাওলাদারের নেতৃত্বে ওলি গাজী সহ অজ্ঞাত ৫/৬জনের একটিচক্র দু‘মাস পূর্বে তার থানার রাস্তার পাশের ৭/৮টি দোকানের দখল বহাল রাখতে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে সবগুলো দোকান জোরপূর্বক দখলে নিয়ে তালা ঝুলানোর হুমকি দিয়ে আসছেন। চক্রটির চাঁদা দাবির একটি অডিও ক্লিপও পাওয়া গেছে। অডিও ক্লিপে চক্রটির অন্যতম সহযোগী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ওলি গাজী মোবাইল ফোনে মধ্যস্থতার নামে সর্বশেষ দু‘লাখ টাকা দাবি করেন এবং অনেক পোলাপান ম্যানেজ করার কথা বলা হয়।
টাকা দিতে দেরি হওয়ায় শুক্ররার সব ভাড়াটিয়া দোকান্দারদের কাছে চলতি মাস থেকে জাকিয়ার পরিবর্তে তাদেকে ভাড়া টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেয়। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তিনি (জাকিয়া) গত শুক্রবার রাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন। জাকিয়া বেগম আরও অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা ৫আগস্ট পরবর্তি সময়ে শহরের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে হামলা লুটপাট, ও ব্যাপক চাঁদাবাজিতে সবাই অতিষ্ঠ হলেও কেউ মুখ খুলতে পারছে না।
চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা মো: জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, ভগ্নিপতির রায় পাওয়া সম্পত্তির দোকানগুলোর দখল পেতে ও দোকানের ভাড়া টাকা চাওয়া হয়েছে। অন্যকেউ চাদা দাবি করে থাকলে তার দায় নিশ্চয়ই তার ওপর বর্তায় না।
অডিও ক্লিপ সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ওলি গাজীর দাবি, তিনি কারো কাছে চাঁদা দাবি করেননি। অডিও ক্লিপে তার কন্ঠ সুপার এডিট করে যুক্ত করা হয়েছে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাকির হোসেন অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, তদন্ত চলছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ। প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯ ইমেইল: abhijug@gmail.com
Copyright © 2025 Weekly Abhijug. All rights reserved.