Sharing is caring!
দুমকি ও পবিপ্রবি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। ‘বাঙালিয়ানায় সেজে গুজে পিঠা উৎসবে মেতেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
২৬ জানুয়ারি (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আইন ও ভুমি প্রশাসন অনুষদের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন ভিসি অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান এবং আইন ও ভুমি প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোঃ জামাল হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পবিপ্রবি, ইনোভেশন সেন্টার এর সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আবু ইউসুফ, ছাত্র বিষয়ক উপ-উপদেষ্টা ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আবদুর রহিম ও সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ রিয়াজ কাঞ্চন শহীদ প্রমুখ।
পিঠা উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এছাড়া বরিশাল, পটুয়াখালী ও দুমকি উপজেলা থেকে অনেকেই আসেন পিঠা খেতে। পিঠা উৎসবে ক্যাম্পাসকে নতুন সাজে সাজানো হয়।
এ উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের তৈরিকৃত ৩০ রকমের পিঠা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়। পিঠা উৎসবের আয়োজক আইন ও ভুমি প্রশাসন অনুষদের শিক্ষার্থী মীর মোঃ নুরনবী, মৌনিলা কর্মকার এবং হাবিবুর রহমান জানান,আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
আইন অনুষদের শিক্ষার্থী মালিহা আকন, জান্নাতুল ফেরদৌস, লামিয়া ইসলাম বাবুই ও জাফরিন সুলতানা জানান, বাঙালি সংস্কৃতিকে ধরে রাখতেই এমন আয়োজন করেছেন তারা। শিক্ষার্থী নিলিমা ইসলাম নাইস, মেরিনা জান্নাত মিমি ও তাবাসসুম তামান্না বলেন, ‘পিঠা বাঙ্গালীর ঐতিহ্য। আমরা চাই এ ঐতিহ্য টিকে থাকুক আজীবন।’
প্রধান অতিথি উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বাঙালিয়ানার অন্যতম প্রতিচ্ছবি হলো এই পিঠা উৎসব। শীতের আগমনে গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে যে আনন্দময় পরিবেশ তৈরি হয়, সেই আবহই আজ আমাদের ক্যাম্পাসে অনুভূত হচ্ছে।
উপাচার্য আরও বলেন, বাংলার রসনা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমাদের এই আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিঠা শুধু একটি খাবার নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে চলেছে। আজকের এই উৎসবে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, সৌহার্দ্য ও ঐক্যের যে অনন্য বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
তিনি আয়োজকদের এই মহৎ উদ্যোগের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন। পিঠার মতোই তাদের বন্ধন মধুর ও সুদৃঢ় হবে সে প্রত্যাশা করেন উপাচার্য ।
এদিকে পিঠার স্টলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভীড় দেখা গেছে। পিঠা উৎসবে বাঙালি সাজে সেজে বসন্ত বরণে মেতে উঠতে দেখা যায় তাদের। সন্ধ্যার পরে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।