Sharing is caring!
বিশেষ প্রতিনিধি, শেখ আসাদুজ্জামান আহমেদ টিটু:- আজ ২১ জানুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, বিয়ে সম্পাদনে আরোপিত একটি কর ছিল, আইন মন্ত্রণালয় এ অযোক্তিক কর বাতিল করেছে।
এর আগে, বিয়েতে কর আরোপ বাতিল চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য রফিকুল ইসলাম আইনী। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে এ আলটিমেটাম দেন তিনি।’
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, বিয়ে ইসলামি শরিয়তের একটি বিধান এবং এটি এবাদতের অংশ।
অথচ, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এ পবিত্র এবাদতের ওপর কর আরোপ করেছে, যা সম্পূর্ণরূপে ইসলামবিরোধী কাজ। এমনকি অমুসলিম দেশগুলোতেও বিয়ের জন্য ট্যাক্স নেই। একটি মুসলিম দেশে ধর্মীয় বিধানের প্রতি এটি সরাসরি আঘাত।
তিনি বলেন, আমরা এই অবিচারমূলক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই এ অযৌক্তিক কর অবিলম্বে বাতিল করুন। বিশেষত, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যারের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ের ওপর আরোপিত কর বাতিল করে জনগণকে স্বস্তি দিন।
প্রসঙ্গত, সিটি করপোরেশন মডেল ট্যাক্স তফসিল ২০১৬ সালে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বিয়ের ওপর বিভিন্ন করের হারের বিধান করে।এক্ষেত্রে করের টাকা পরিশোধ করতে হবে পাত্র পক্ষকে।
তফসিলের ১৫২ ধারায় বলা হয়েছে, প্রথম বিবাহ বা প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে বিবাহের জন্য একজন পুরুষকে বিয়ের পিড়িতে বসার আগে ১০০ টাকা ফি দিতে হবে। প্রথম স্ত্রীর জীবদ্দশায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে হলে ৫ হাজার টাকা, প্রথম দুই স্ত্রীর জীবদ্দশায় তৃতীয় বিয়ের জন্য ২০ হাজার টাকা দিতে হবে।
তফসিল অনুযায়ী, চতুর্থ বিয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা কর দিতে হবে। স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ বা নিঃসন্তান হলে এই নিয়ম কার্যকর হবে না। তবে, সেক্ষেত্রে ২০০ টাকা দিতে হবে।’