শেখ আসাদুজ্জামান আহমেদ টিটু, বিশেষ প্রতিনিধি:-গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় মালামাল বহনে ভরসা হয়ে উঠছে ঘোড়ার গাড়ি। গ্রাম থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব ধরনের মালামাল ঘোড়ার গাড়িতে করেই আনা-নেয়া করা হচ্ছে। এতে জীবিকা নির্বাহ হয় অসংখ্য পরিবারের। স্থানীয়রা জানান, উপজেলায় অসংখ্য ঘোড়ার গাড়ি রয়েছে। এসব গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মালামাল পৌঁছানো ছাড়াও যাত্রীবহনও করা হয়।
সরেজমিনে উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের মালামাল কিনে ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে যান। দূরত্ব ভেদে মণপ্রতি বিভিন্ন ধাপে ভাড়া নেন চালকরা। ধান-চাল, লাকড়ি, চিড়ানোর জন্য বিভিন্ন কাঠ, বাঁশ, ধানের আঁটি, কলা, বেগুন, খড়সহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকেন ঘোড়ার গাড়িতে।
৮-১০ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন জানান, ঘোড়ার গাড়ির চাকা চললে তাদের অনেকের চলে সংসারের চাকাও। এই আধুনিক যুগেও আদি পেশায় কাজ করে তারা টিকে রয়েছেন। পীরগঞ্জ উপজেলার খাশিপুর গ্রামের বাহারাম বাদশা
মালামাল ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে পরিবহন করে থাকেন।
তিনি বলেন, পীরগঞ্জ, গাইবান্ধা, গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী ছাড়াও শহরেও মালামাল পৌঁছে দিয়ে আসি। আমার উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম এই ঘোড়ার গাড়ি। চাঁদপুর গ্রামের আলম বলেন, বাপ-দাদার পেশা ঘোড়ার গাড়ি চালানো বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এই আধুনিকতার যুগেও সব মিলিয়ে তার উপার্জন ভালোই হচ্ছে জানিয়ে বলেন, দৈনিক এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা রোজগার করা যায়।
এতেই তার সংসার চলে বলে যোগ করেন তিনি। ঘোড়ার গাড়ি চালক ইউনুস মিয়া বলেন,ঘোড়া গাড়ি দিয়ে কৃষক ও বেপারিদের মালামাল পরিবহন করে থাকি। ঘোড়ার গাড়িতে মালামাল পরিবহন করেন এমন কয়েক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, অনেকে দিনমজুরের কাজ ছেড়ে ঘোড়ার গাড়ি চালাচ্ছেন। এতে যেমন মানুষজন পরিবহন সেবা পাচ্ছেন অন্য দিকে গাড়ি চালকদের ভালো আয় হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ। প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯ ইমেইল: abhijug@gmail.com
Copyright © 2025 Weekly Abhijug. All rights reserved.