Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টার,গাইবান্ধা:- গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের সাত টেকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে মাছ ও আখ চাষের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৭ই অক্টোবর ১৯৯৫ সালে স্থানীয় আমির উদ্দিন, পিতা: মৃত ফেলান উদ্দীন ,সাং- পদুমশহর, উপজেলা-সাঘাটা,জেলা-গাইবান্ধা সাত টেকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে টেপা পদুম শহর মৌজার পুরাতন দাগ ৭৮১৫ ও হাল দাগ ৯৫৮৪ যার ডিবি খতিয়ান নং ৭৫২ এর ৩৩ শতাংশ জমি ৬৬৯৬ দলিল মূলে দান পত্র করেন।
বর্তমানে ঐ স্কুলের ভবনটি দানকৃত জায়গায় না হয়ে তা এখন স্থানীয় আমির উদ্দিন ,পিতা: মৃত ফেলান উদ্দীন ,সাং- পদুমশহর, উপজেলা-সাঘাটা,জেলা-গাইবান্ধা তাহার পাশ্ববর্তী ১৫৪৫ নং দলিল মূলে গত ১৪ই মার্চ ২০১০ ইং ৫ শতক দানকৃত জায়গা স্কুল ভবনটি নির্মিত হয়।
স্কুলের ৩৩ শতাং নিজস্ব জমি থাকার পরেও এমন সংকৃর্ণ জায়গায় স্কুল ভবনটি নিমির্ত হওয়ার ফলে বাচ্চাদের মেধা বিকাশ, খেলাধুলা,শরীরচর্চা বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে করে অভিভাবকবৃন্দ,এলাকাবাসি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে কাগজপত্রে দেখা যায়, ১৫৪৫,৬৬৯৬,১৯৭৬ দলিল মূলে প্রায় ৪১শতাংশ জমি স্কুলের নিজস্ব সম্পত্তি রয়েছে। যা থাকা সত্ত্বেও আটোসাটো জরাজীর্ণ বাশঁঝারের ভিতরে ৫শতাংশ জায়গার উপরে স্কুল ভবনটি নির্মিত হয়।
উক্ত স্কুলের জায়গায় শিক্ষাথী এবং শিক্ষকদের জন্য নেই কোন শৌচাগার বা প্রসাব খানা। এতে করে বিরাম্বনায় পড়তে হয় স্কুলের শিক্ষাথী এবং শিক্ষকদের।
এ বিষয়ে সাত টেকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এসনাহার বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এমন জরাজীর্ণ ও সংকৃর্ণ জায়গায় স্কুল ভবনটি হওয়াতে এবং উভয় পার্শ্বে বাশঁঝার ,বসতবাড়ি থাকায় কোমলমতি শিক্ষাথীরা খেলাধুলা বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।পাশাপাশি জায়গা না থাকায় ভবনটি তৈরীর সময় শৌচাগার নির্মান করা সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে স্কুলের জায়গা থাকা স্বত্তেও আমাদের পড়তে হচ্ছে নানা বিরাম্বনায়।
স্কুলের পাশেই ৩৩ শতাংশ নিজস্ব জমি দখল করে রেখেছেন স্থানীয় আমির উদ্দিন গং। স্কুলের নিজস্ব জায়গাটি দখলমুক্ত করতে গেলে স্থানীয় আমির উদ্দীন গং আমি সহ আমাদের সহকারী সকল শিক্ষকদের নানা রকমের ভয়ভীতি ও স্কুলে তালা লাগিয়ে দেবার হুমকি প্রদশর্ন করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহিশ শাফী বলেন, আমরা বিষটি অবগত হয়েছি এবং সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কে জায়গাটি উদ্ধারের পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার দের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা প্রদান করতে বলা হয়।
এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন,বিষয়টি অবগত হয়েছি।স্কুলের দখলকৃত জায়গাটি দখলমুক্ত করতে আমারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
মেহেদী হাসান বাবু
স্টাফ রিপোর্টার,গাইবান্ধা।
তারিখঃ০৭-০১-২৫