৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ভূমিদস্যু’র দেওয়া আগুনে পুড়েছে গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালপল্লী

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ৫, ২০২৫
ভূমিদস্যু’র দেওয়া আগুনে পুড়েছে গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালপল্লী

Sharing is caring!

মোঃ মিঠু মিয়া, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক সাঁওতাল নারীকে মারধর ও বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

গত শুক্রবার সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের রাজাবিরাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে রোববার গাইবান্ধা জেলা শহরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে শহরের ডিবি রোডে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে ‘আদিবাসী’ সাঁওতাল ও বাঙালীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহন করে।

সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, আদিবাসী-বাঙালী সংহতি পরিষদ, জনউদ্যোগ, এএলআরডি এবং গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তারা সাঁওতাল নারী ফিলোমিনা হাসদাকে (৫৫) মারধর এবং তার বাড়িতে আগুন দেয়। মারধরের শিকার ওই নারী বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় শনিবার রাতে চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বির“দ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে (মামলা নম্বর: ০৫)। বক্তারা এজাহারে অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন।

সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ডা. ফিরিমন বাস্কের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, পরিবেশ আন্দোলন সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল, আদিবাসী-বাঙালী সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ গাইবান্ধার সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবীর তনু, নারীনেত্রী সাজেদা পারভিন র“নু, নাজমা বেগম রিকতু প্রসাদ, ভূক্তভোগী শ্যামবালা, ব্রিটিশ সরেন, সাঁওতাল নেত্রী সুচিত্রা মুরমু তৃষ্ণা প্রমুখ।

আহত ফিলোমিনা হাসদার ছেলে ব্রিটিশ সরেন অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সকালে তাদের পৈত্রিক জমিতে চেয়ারম্যান মাটি ভরাট শুর“ করলে বাধা দিতে গেলে তার খালাতো ভাইকে মারধর করা হয়। প্রতিবাদ করতে গেলে তার মা ফিলোমিনা হাসদাকে লাঞ্ছিত করা হয় এবং পরে রাতে তাদের বাড়িতে হামলা ও আগুন দেওয়া হয়।

প্রতিবাদ সামবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে সাঁওতালদের প্রায় ২৫০ বিঘা জমি স্থানীয় বাঙালিরা নানাভাবে দখলে নিয়েছেন। সেই কারণে সেখান থেকে অনেক সাঁওতাল পরিবার অন্য জায়গায় চলে গেছেন। এই সুযোগে চেয়ারম্যান জমি দখলের পাঁয়তারা করছেন। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ দোষীদের বির“দ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন এবং সাঁওতালদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।