Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা :- সাভারের আশুলিয়ায় এক আনসার সদস্যের গোপনাঙ্গে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এক যুবককে ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বুধবার রাত ২টার দিকে আশুলিয়ার শুটিং বাড়ি এলাকায় একটি বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম আশুলিয়া থানাধীন আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী আনসার সদস্যকে জোরপূর্বক অর্থ প্রদানের চেষ্টা করা হয়।
ভুক্তভোগী আনসার সদস্যের নাম নবীন মিয়া। তিনি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার বনগ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে। এছাড়াও অপর ভুক্তভোগী হলেন- আশুলিয়ার শুটিংবাড়ি এলাকার রনি মিয়া।
ভুক্তভোগী আনসার সদস্য নবীন মিয়া বলেন, ‘আশুলিয়া থানার সামনে কথা-কাটাকাটির জেরে পুলিশের এএসআই জহিরুল ইসলাম আমার গোপনাঙ্গে আঘাত করে। পরে থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে আমাদের টাকা দিয়ে জোরপূর্বক আপোষ নামায় স্বাক্ষরের চেষ্টা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মেইন ওসি (আবু বকর সিদ্দিক), অপারেশন ওসি (মো. আব্দুল বারিক) বলছে যে, সে অন্যায় করেই ফেলেছে আমরা সামাজিকভাবে মিমাংসা করে দেই। আমি আমার ভাই ব্রাদার যারা ছিল সবাই আমরা রাজি হই।
ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা কান্ডের ভুক্তভোগী রনি বলেন, আমার বাড়ির দুই কলোনিতে শ্রমিক শ্রেণীর লোক ভাড়া থাকেন। রাতে কয়েকজন ভাড়াটিয়া বসে তাস খেলছিলো। এমন সময় এএসআই জহিরুল ইসলাম সাথে একজন এসআই ও দুইজন কনস্টেবল নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে তাস খেলার বিষয়ে নানা প্রশ্ন করে আমার হাতে ইয়াবা দিয়ে ছবি তোলেন তারা।
এ সময় তারা গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে আমার নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে অনেক কষ্টে ২০ হাজার টাকা দিলে আমাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের সামনেই ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো ও আনসার সদস্যদের গোপনাঙ্গে আঘাত করেন থানা পুলিশের এই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনার পরপরই এএসআই জহিরুলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনার সাথে আশুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।